নিজস্ব সংবাদদাতাঃ
কোচবিহারের দিনহাটা মহকুমার উপনির্বাচন ও পৌর-নির্বাচনের আগে কোচবিহারের জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের নবনিযুক্ত সভাপতি গীরীন্দ্র নাথ বর্মন দেখা করলেন কোচবিহারের বিজেপির নাটাবাড়ি বিধানসভা অঞ্চলের বিধায়ক মিহির গোস্বামীর সাথে। আর এই সাক্ষাৎকারের ফলেই কোচবিহারের রাজনৈতীক মহলের একাংশে মধ্যেই প্রবল জল্পনার সূত্রপাত ঘটতে শুরু করেছে। যদিও উভয় রাজনৈতীক নেতাই এই সাক্ষাৎকারকে একটি নিতান্তই সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎকার বলে বর্ণনা করেছেন।
তবে প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো যে, ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে মিহির গোস্বামী তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপি দলে যোগদান করেন। এবং তারপর বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীপদ ঘোষণা হলে তাকে বিজেপির দল থেকে কোচবিহারের নাটাবাড়ি বিধানসভা অঞ্চলের প্রার্থী হিসেবে নাম দেওয়া হয়। এবং ভোট জয়ী ও হন। কিন্তু তারপর দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরও দলের থেকে তাকে কোন বিশেষ পদ দেওয়া হয় না।
তাই আজকে তৃণমূলের জেলা সভাপতির মিহির গোস্বামীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎকারের ঘটনাকে ঘিরে একাধিক জলঘোলা শুরু হয়েছে রাজনৈতীক মহলে। কারণ, তৃণমূল ত্যাগের আগেও মিহির গোস্বামীর বাড়িতে একই রকম সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎকার করতে আসেন কোচবিহারের বিজেপির বর্তমান সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। তারপরই মিহির গোস্বামীর তৃণমূল দল ত্যাগ করেন এবং বিজেপিতে যোগদান করেন। তাই এই সাক্ষাৎকারের ফলেও মিহির গোস্বামীর আবার দলত্যাগী হওয়ার কথা চিন্তা করতে শুরু করেছেন অনেকে।
সাক্ষাৎকার শেষে সাংবাদিক এর মুখোমুখি হলে মিহির গোস্বামীকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, " গীরিন্দ্র নাথ বর্মন শুধুমাত্র একজন রাজনৈতীক ব্যাক্তিত্ব নন, তিনি একজন সামাজিক ভদ্রলোক ও বটে। কিন্তু বলা বাহুল্য যে আমার সাথে ওনার পরিচয় রাজনৈতিক সূত্রেই। তবে তিনি একজন অত্যন্ত সৎ ব্যক্তি এবং একজন সৎ শিক্ষক। এছাড়াও আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের একসময়ের আমার সহকর্মীও তিনি। তাই তিনি মাতৃ পক্ষের সূচনা লগ্নে আমার সাথে আমার বাড়িতে এসে দেখা করেছেন ।
এছাড়া তিনি আরও জানান, যে আফগানিস্থান কে দেখে আমাদের বোঝা উচিত আফগানিস্থানের মানুষেরা যেমন নিজেদের জায়গা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, অথবা তোষনবাদের রাজনীতিকে মেনে নিতে বাধ্য হয়েছে। ঠিক তেমনি যদি কোনদিন সেই আফগানিস্থানের মানুষদের মত আমাদেরকে মানে আমরা যারা সনাতনী ধর্মে বিশ্বাসী তাদের যদি বাংলায় ছাড়তে বাধ্য করা হয়? নাকি আফগানিস্থানের মত আমাদের কেও তোষণবাদের রাজনীতির চাপে পরে নিজেদের হারিয়ে যেতে হবে। তাই আমার দল পরিবর্তনের কোন আশা কিংবা আকাঙ্ক্ষা কোনোটাই নেই। ব্যক্তিগত ভাবে অন্য সমস্ত দলের রাজনীতিক ব্যক্তিত্বকে সম্মান ও শ্রদ্ধা আমি করি।"
যদিওবা দুই পক্ষই এই বিষয়টি পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে এটা নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাতকার কিন্তু, তারপরও এই সৌজন্য সাক্ষাতকার পেছনে কোন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট লুকিয়ে রয়েছে কিনা সেটাই বারংবার ভাবিয়ে তুলছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশকে।