রাহুল পাসোয়ান, আসানসোলঃ দীর্ঘদিন ধরে চৌর্যবৃত্তিকেই নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিল এমএ পাশ এক যুবক। তার এই কুকর্মের কারণে কয়েক বছর আগে আত্মঘাতী হন ওই যুবকের স্কুল শিক্ষিকা মা। তার বাবা ছিলেন সরকারি আধিকারিক। তার প্রথম কর্মক্ষেত্র ছিল নিজের শহর আসানসোল। এখনো পর্যন্ত আসানসোলে তার নামে দায়ের হয়ে রয়েছে ষোলটি চুরির ঘটনার অভিযোগ। পরে সেখানকার পাট চুকিয়ে সে চলে আসে পাঁশকুড়ায়। এরপরে সে হানা দেয় হাওড়া পুলিশ কমিশনারেট এলাকায়। বালি থেকে সাঁকরাইল হাওড়া সিটি পুলিশের এলাকায় গত কয়েক মাসেই ছটি চুরি করে এই যুবক ও তার দুই সঙ্গী। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ভালোভাবে রেইকি করে ফাঁকা বাড়ি বা ফ্ল্যাটে হানা দিত ওই যুবক। কোনও ক্ষেত্রেই পেছনে কোনও সূত্র রেখে যেত না সে। গত ৯ই জুন সাঁকরাইলের দুইলা এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার সোনার গয়না হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সন্দেহবশত তার স্কুটির নম্বর লিখে রাখেন অভিযোগকারি। সেই স্কুটির রেজিস্ট্রেশন নম্বরের সূত্র ধরেই ধরা হয় মূল অভিযুক্ত সৌমাল্য চৌধুরী ও তার সহকারী প্রকাশ শাসমলকে।সৌমাল্য চৌধুরী আসানসোল কটমোর এলাকার বাসিন্দা। তাদের জেরা করে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থেকে গ্রেফতার করা হয় মাধব সামন্তকে। হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি সাউথ প্রতীক্ষা ঝাড়খারিয়া জানান, মাধব সামন্ত এদের কাছ থেকে চোরাই জিনিসপত্র কিনত। এদিন আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সিটি পুলিশ।
আরও খবরঃ
For more details visit www.anmnews.in
Follow us at https://www.facebook.com/newsanm