হরি ঘোষ, অন্ডাল:- অন্ডালের মদনপুরের জমিদার বাড়ির পুজো ঘিরে এলাকায় সাজো সাজো রব । পারিবারিক পুজো হলেও গ্রামের প্রায় সকল মানুষ এই ব্যাঘ্রবাহিনী মায়ের পুজোয় অংশ গ্রহন করতে ভোলেন না। আন্ডালের মদনপুরের জমিদার বাড়ির দুর্গা আজও প্রাচীন প্রথা মেনেই ব্যাঘ্রবাহিনী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। কথিত আছে অণ্ডাল মদনপুরের জমিদার পরিবারের প্রথম জমিদার ৺ মহেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় আজ থেকে আনুমানিক ২১৪ বছর আগে এই মায়ের পুজো শুরু করেছিলেন। জমিদার চ্যাটার্জি পরিবারের সদস্য অনুপম চ্যাটার্জির থেকে জানা যায়, মা দূর্গা ৺মহেশ চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কে স্বপ্নাদেশ দেন তাঁর মূর্তি প্রতিষ্ঠা করার এবং স্বপ্নে কিরকম মুর্তি হবে সেই রূপে মা মহেশ বাবুকে দেখা দেন বলে জনশ্রুতি আছে। তার সাথে দুর্গাপুরের মৃৎশিল্পী ভুবন মিস্ত্রিকে এই রূপে দর্শন দেন মা এবং মুর্তি গড়ার নির্দেশ দেন। মা বাঘের ওপরে উপবিষ্ট হয়ে , তাঁর বাম পাশে গণেশ এবং ডান পাশে কার্তিক । মায়ের এই রূপ অন্যত্র খুব একটা দেখা যায়না । আজ থেকে ২০০ বছর আগে পুজোর অনুষ্ঠানে যে নিয়ম চালু ছিল সেটা মেনেই চলে পুজো । এই পুজো চ্যাটার্জি পরিবারের পারিবারিক পুজো । তাই পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সহযোগিতায় এই পুজো চলে আসছে। এখন জমিদার পরিবারের অনেকেই যারা কর্মসূত্রে বিদেশে থাকেন তারাও এই পুজো ক'দিন নিজেদের পিতৃভিটার পুজো মিস করতে চান না । প্রায় সকলেই এসে থাকেন এখানে। পরিবারের সদস্য অনুপম বাবু এটাও জানান যে বর্তমানে করোনা অতিমারীর কারণে সমস্ত রকম করোনা বিধি মেনেই তারা পুজো করবেন। তার ফলে অনেক অনুষ্ঠান তাদের বাদ দিতে হয়েছে।