সামনেই পুজো মুখভার তাঁত শিল্পীদের

author-image
Harmeet
New Update
সামনেই পুজো মুখভার তাঁত শিল্পীদের

দিগবিজয় মাহালি,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ বাঙালির বড় উৎসব দুর্গা পুজো,হাতে আর কটা দিন পুজোর। পুজোর সময় নতুন পোশাক,নতুন সাজে মেতে উঠে আট থেকে আশি সকলেই। গতবছরের মতো এবারও পুজোর মুখে মুখভার,মন ভালো নেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ১ নং ব্লকের রামজীবনপুর পৌর এলাকার তাঁত শিল্পীদের। পুজোর এইসময়টাই তাঁত শিল্পীদের নাওয়া খাওয়ার ফুরসত ছিলনা, দিনরাত এক করে তাঁতের শাড়ি তৈরির কাজে যুক্ত থাকতো শতাধিক পরিবার। বর্তমানে ধুঁকছে রামজীবনপুরের ঐতিহ্যের তাঁত শিল্প,চরম দুঃশ্চিন্তায় দিনকাটছে তাঁতি পরিবারের সদস্যদের। জানা যায়, রামজীবনপুর পৌরসভার মোট ১১ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫ টি ওয়ার্ড তথা ১ থেকে ৫ নং ওয়ার্ডে রয়েছে ২০০ টির উপর তাঁতি পরিবার,বর্তমানে ২৫-৩০ টি পরিবার যুক্ত তাঁতের কাজে। চাষাবাদ বা বিকল্প কোনও রুজিরোজগার নেই, বংশপরম্পরায় তাঁত শিল্পের সাথে যুক্ত তাই তাঁতের কারুকার্য করা বিভিন্ন শাড়ি তৈরি করেই চলতো সংসার। তাঁতের শাড়ি তৈরিতে কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয় সুতো,রেশম,রঙ এবং তাঁত বুনার জন্য রয়েছে নিজেদের মেশিন। আগে এইসমস্ত কাঁচামাল দুরদুরান্ত থেকে মহাজনেরা রামজীবনপুরের তাঁতিদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিত সাথে মজুরির টাকাও। অগ্রীম বায়না দিয়ে তাঁতিদের বানানো নতুন শাড়ি নিয়ে গিয়ে তা বাজারে বিক্রি করা এমনকি ভিনরাজ্যেও নিয়ে গিয়ে বিক্রি করতো মহাজনেরাই। তাঁতিদের মধ্যে কেউ কেউ আবার নিজেরাই কাঁচামাল কিনে শাড়ি বুনে তা বাজারে বিক্রি করে মোটা টাকা উপার্জন করে স্বাচ্ছেন্দে সংসার চালাতো। কিন্তু বিগত কয়েকবছর ধরেই ধুঁকছে ঐতিহ্যের এই হস্তশিল্প,এখন প্রায় বন্ধের মুখেই এই শিল্প। সব থেকে বেশি সংকট তৈরি হয়েছে তাঁতিদের জিএসটি লাগু,পরবর্তী সময়ে দোসর হয়েছে করোনা লকডাউন। পুজোর আগে মুখভার তাঁত শিল্পী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের,মনভালো নেই রামজীবনপুরের তাঁতি পরিবারের। সরকার এগিয়ে এসে তাদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে ঐতিহ্যের এই হস্তশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করুক আবেদন তাঁতিদের। আমরা যে কোনও মুল্য তাদের পাশে থাকছি আশা করছি আমাদের সরকারও সবরকমভাবে তাঁতিদের পাশে থাকবে "নিজের পৌর এলাকার সুপরিচিত ঐতিহ্যের তাঁত শিল্পের বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে এমনটাই জানান রামজীবনপুর পৌরসভার প্রশাসক নির্মল চৌধুরী।