সুদীপ ব্যানার্জী, শিলিগুড়িঃ এখন থেকে পাহাড়ে পর্যটকদের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত করবেন গাড়ির চালকরাই।সেবক করোনেশন সেতুই হোক কিংবা মহাকাল মন্দির। বাতাসিয়া লুপই হোক কিংবা পাহাড়ের বিশেষ কোনও আকর্ষণ। কীভাবে এই জায়গাগুলি ঐতিহাসিক? কবেই বা তৈরি হয় সেতু? এসব নিয়ে পর্যটকদের প্রশ্নের জবাব দেবেন গাড়ির চালকরাই। এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পাহাড়ের দর্শনীয় স্থান ও জায়গাগুলির সঙ্গে জড়িত নানা গল্প শোনাবেন গাড়ির চালকরাই। তাই পাহাড় ঘুরতে এখন আর গাইডের প্রয়োজন নেই। গাড়ির চালকদেরই প্রশিক্ষণ দিয়ে এই কাজ শীঘ্রই শুরু করা হবে।
পাহাড়ের বিভিন্ন এলাকার ঐতিহাসিক জায়গাগুলি সম্পর্কে পর্যটকদের জানার আগ্রহ থাকলেও সেভাবে গাইড না থাকার কারণে অনেক তথ্যই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকদের কাছে অজানা। এবার এই অভাবটাই পূরণ করতে চায় পর্যটন দপ্তর। তাই, এই বিষয়ে গাড়ির চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরই গাইড করে তোলা হবে। এরা গাড়ি চালানোর পাশাপাশি বিভিন্ন দ্রষ্টব্য জায়গায় দাঁড়িয়ে সেখানকার ইতিহাস পর্যটকদের সামনে তুলে ধরবেন। এর জন্য গাড়ির চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হতে চলেছে। শিলিগুড়ি সহ পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় গাড়ির চালকদের এই প্রশিক্ষণ দিয়ে তাঁদের এই কাজে লাগানো হবে। শিলিগুড়ির পাশাপাশি দার্জিলিং, কালিম্পংয়ের গাড়ির চালকদেরও এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গাইড হিসেবে প্রথম জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শমীক রায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।