কামারপুকুর লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো

author-image
Harmeet
New Update
কামারপুকুর লাহাবাড়ির দুর্গা পুজো

 নিজস্ব সংবাদদাতাঃ হাতে থাকে না অস্ত্র। থাকে না মহিষাসুরও। দেবী দুর্গার অবস্থান শিবের কোলে।  লাহা বাড়িতে পুজো হয় না মহিষাসুরমর্দিনী বরং, এখানে দেবী দুর্গা পূজিত হন জগজ্জননী হিসাবে। মাটির প্রতিমা তৈরি করা হলেও, তা আসলে প্রতীকী। বাড়ির কুলদেবী অষ্টধাতুর সিংহবাহিনীর সামনেই পুজোর ঘট বসানো হয়।তবে পুজো শুরুর ইতিহাসটা কিছুটা ঝাপসা।

আগে কলকাতার বনেদি পরিবারগুলিতে দুর্গা প্রতিমা বাড়িতেই তৈরি হত। তবে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এখন আর তা চোখে পড়ে না। কিন্তু লাহা বাড়িতে এখনও কুমোর এসে তৈরি করে প্রতিমা। একচালের প্রতিমার সামনে বসানো হয় অষ্টধাতুর সিংহবাহিনী।যদিও পরিবারেরই অনেক সদস্যদের দাবি, দুর্গাচরণের অন্তত তিন পুরুষ আগে লাহাবাড়িতে শুরু হয় দুর্গোত্‍সব। কেউ বলেন রাজীবলোচন লাহা, আবার কারও মতে তস্য পুত্র প্রাণকৃষ্ণ লাহা পত্তন করেছিলেন দুর্গাপুজোর।

বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী এই পরিবার মহিষাসুর বধকে হিংস্র মনে করেন। তাই পরিবারে মা দুর্গা দশভুজা হয়ে আসেন না। তিনি আসেন হরগৌরী রূপে। দুর্গা বসেন স্বামী শিবের কোলে। শিবের বাহু বেষ্টন করে থাকে তাঁকে। দুর্গার দু'চোখ বন্ধ।ষষ্ঠীতে বোধনের সময় পরিবারের কুলদেবী সিংহবাহিনীকে রুপোর সিংহাসনে বসিয়ে পুজো করা হয়। বৈষ্ণব ধর্মাবলম্বী হওয়ায় কোনওরকম পশু বলি হয় না। ছাঁচিকুমড়ো ও শশা বলি হয়। লাহাবাড়িতে সন্ধিপুজোর সময় মহিলারা দু-হাতে ও মাথায় মাটির সরার মধ্যে ধুনো পোড়ান। ভোগ নিবেদনেও রয়েছে বৈচিত্র।