সুদীপ ব্যানার্জী, শিলিগুড়ি : দূর্গাপূজোর আগে বরাত না-পাওয়ায় মৃৎশিল্পীদের মাথায় হাত।দূর্গাপূজোর জন্য দীর্ঘ অপেক্ষায় থাকেন মৃৎশিল্পীরা। অবশেষে দোরগোড়ায় বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব। আর হাতে মাত্র কয়েকটা দিন। তবুও করোনা পরিস্থিতির জন্য শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়ার মৃৎশিল্পীদের মধ্যে বিষাদের সুর। সময় গড়াচ্ছে ঠিকই, কিন্তু বায়না হয়নি একটিও দূর্গা প্রতিমার। প্রতিবছর এই সময়টায় কারিগরদের মধ্যে থাকে চরম ব্যস্ততা। তবে, সেই ব্যস্ততা এখন অমিল কুমোরটুলিতে। ফাঁসিদেওয়ার এক মৃৎশিল্পী কারখানায় প্রায় ৬ জন কারিগরকে সঙ্গে নিয়ে প্রায় ১৫টি প্রতিমা তৈরির কাজে হাত দিয়েছে কারখানার মালিক । কোনও পূজো কমিটিই এখনও প্রতিমার বায়না দিতে না আসায় আশঙ্কায় রয়েছেন শিল্পীরা।একাংশ মৃৎশিল্পীরা জানিয়েছেন বছরভর ছোট ছোট মুর্তি গড়ে যা আয় হয়, তা দিয়েই চলে সংসার।গতবছরের তুলনায় এবছর সময়টা আরও কঠিন। ভিন জেলা থেকে এই কারখানায় কাজ করতে আসা এক কারিগর বলেন, ‘আমরা বছরভর কাজ করি।এই সময়টার জন্য অপেক্ষায় থাকি। গতবছর খুব কষ্টে দূর্গাপূজো পার হয়েছে। কাজ ঠিকঠাক ছিল না। এবছরও একই পরিস্থিতি। দূর্গাপূজোর মা-সন্তানদের জামাকাপড় কিনে দিতে পারব কি না, বুঝতে পারছি না।' কারখানার মালিকরা এও জানিয়েছেন ‘জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়েছে। মাটির দামও বেশি। এদিকে, পূজো উদ্যোক্তারা কম বাজেটে পুজো সারতে চাইছেন। অনেকে এখনও পূজো নিয়ে পরিকল্পনা করে উঠতে পারেননি।