নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ গতবারও তিনি এসেছিলেন, হই হই করে না এলেও করোনার ভরা বাজারে তিনি এসেছিলেন হাতির পিঠে সওয়ার হয়েই। তবে এবার আর শেষ পর্যন্ত তাঁর আসা হচ্ছে না। কারণ সেই করোনা। করোনা বহুল পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে বলে নয়। আসলে করোনার ছোবলে বিদ্ধস্ত ব্যবসা। দেনার দায়ে ডুবেছে সব, পথে বসেছে পরিবার। আর যেখানে ব্যবসাটাই নেই, সেখানে বিশ্বকর্মার কী দরকার!ঠিক এমনই পরিস্থিতি এবছরের বিশ্বকর্মা পূজার।
ঠাকুরের মূর্তি তৈরি করলেও নেই তেমন বিক্রিবাটা, ঠাকুর তৈরি করেও বসে রয়েছেন বায়নার অপেক্ষায়, তবে কিছু সংখ্যক বিক্রি হলেও নেই রমরমিয়ে বিক্রিবাটা, যাঁর ফলে কার্যত মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের। অর্ডার নেই ঠাকুরের, বিক্রিও নেই।ঠাকুর তৈরি করেই চলে জীবিকা, কিন্তু করোনার অতিমারীর কামড়ে একপ্রকার ভাটা পড়েছে ঠাকুর বিক্রিতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরের এক মৃৎশিল্পী বলেন এমন চলতে থাকলে আমাদের আত্মহত্যা করতে হবে।সরকার তো মুখ তুলেই চাইছে না মৃৎশিল্পীদের দিকে।