দিগবিজয় মাহালি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিয়ে, এবছর বিগত বছরের তুলনায় বায়না বেড়েছে বলে দাবি কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী থেকে কারিগরদের। এবছর দূর্গা প্রতিমার বায়না আসছে আগের তুলনায় ভালো কিন্তু তা নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে।ফলে পুজোর ঠিক আগে উদ্যোক্তাদের প্রতিমা প্রস্তুত করে ডেলিভারি দেওয়াই এখন বড় চ্যালেঞ্জ মৃৎশিল্পী অজিত বাগ,বাদল মালিক,নবকুমার রায় দের কাছে।এদের কথায়,প্রতিবছর বৈশাখ মাসের শেষের দিকে দূর্গা প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়। কিন্তু এবছর শ্রাবণ মাসের শেষের দিক থেকে বায়না আসতে শুরু করেছে,ফলে শ্রমিক ও মিস্ত্রিদের কাজে যোগ দিতেও দেরি হয়েছে।আর করোনার রেশ কাটিয়ে কুমোরটুলিতে এবছর প্রতিমা তৈরির বায়না দ্বিগুণ বেড়েছে,তাতেও স্বস্তি নেই চন্দ্রকোনার এই কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের।দেরিতে হলেও বায়না আসতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রতিমার বাজেট অনেকটাই কাটছাঁট করে উদ্যেক্তারা চাইছেন কম বাজেটের প্রতিমা।কারণ তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে,পুজোর সময় পরিস্থিতি কেমন হয় তা চিন্তাভাবনা করেই এবারও বিগ বাজেটের পুজোগুলিও বিধিনিষেধ মেনে ছোট করেই করতে চাইছেন উদ্যোক্তারা ,অনেকেই এমনটাই দাবি কুমোরটুলির মৃৎশিল্পীদের।আগে ৮০-৯০ হাজার টাকা বাজেটের প্রতিমা এখন ৩৫-৪০ হাজারে আটকে গেছে,এই বাজেটের নিচেও প্রতিমার বায়না আসছে এবছর।কিন্তু যেভাবে জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া তাতে কারিগর,ভিন জেলার মিস্ত্রি দিয়ে কম বাজেটের কাজ করে লাভের আশা দেখছেননা মৃৎশিল্পীরা।