নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ঋক বেদের দশম সূক্তে বিশ্বকর্মার কাহিনি বর্ণিত আছে। বলা হয়েছে, এক সময় পৃথিবীতে জলভাগ আর স্থলভাগ একসঙ্গে মিশে ছিল। যত দিন যেতে লাগল, আস্তে-আস্তে দু’টি আলাদা হতে থাকল। বিশ্বকর্মা তাঁর জ্ঞানচক্ষু দিয়ে দেখলেন আর নিজের সৃষ্টিশক্তি দিয়ে ধীরে-ধীরে সব কিছু গঠন করতে থাকলেন। এই বিশ্ব আসলে তাঁরই কর্মযজ্ঞের একটি অংশ, তাই তিনি বিশ্বকর্মা।
পুরাণে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া আছে কীভাবে বিশ্বকর্মার উৎপত্তি হল। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ বলছে, ব্রহ্মার নাভি থেকে জন্ম এই দেবতার। আবার অন্য পুরাণ বলে, দেবগুরু বৃহস্পতির বোন বরবর্ণিনী দেবী ও অষ্টবসুর মধ্যে একজন প্রভাস, এঁদের দু’জনের সন্তানই হলেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা ও তাঁর স্ত্রী ঘৃতাচীর নয় সন্তান। যাঁরা প্রত্যেকেই কোনও না-কোনও শিল্পের সঙ্গে জড়িত।