পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা নিম্নচাপের অতি বর্ষণে জলমগ্ন

author-image
New Update
পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা নিম্নচাপের অতি বর্ষণে জলমগ্ন

নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদিনীপুরঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দেশপ্রাণ, কাঁথি-১, কাঁথি-৩, খেজুরী-১, খেজুরী-২, ভগবানপুর-১,ভগবানপুর-২, পটাশপুর-১,পটাশপুর-২,এগরা-১, এগরা-২, রামনগর-১, রামনগর-২ ব্লক সমুহ সহ কাঁথি ও এগরা পৌরসভার বিস্তীর্ণ এলাকা নিম্নচাপের অতি বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। আমন ধান ও অন্যান্য ফসল,নার্সারি, রাস্তাঘাট, মাছের ভেড়ি জলের তলায়। অনেক ঘরবাড়ি আংশিক ও পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দেশপ্রাণ ব্লকের মগরা বেসিন এলাকায় বৃষ্টির জমা জলে প্লাবনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরদা অঞ্চলের দুরমুঠ কুমোরপাড়া, গারুপাড়া,কাজলার গামরামাড়া, হিঞ্চির হাদুয়া পাড়া,পারুলিয়া ও কাজলার বাগিচা পাড়া,কাজলার চোপদার ও ড্রাইভার পাড়া, গোটসাউড়ীর গোয়ালপাড়া, উত্তর দুরমুঠের খালপাড়া, ফুলেশ্বরের মহতা ও ঘোড়াই পাড়া, অযোধ্যাপুর ও মৈশামুণ্ডার হরিজনপল্লী, পাঁচগেছিয়ার শ্যামল পাড়া, কুঁকড়াআউলের খাল পাড় অতি বর্ষণের জমা জলে ডুবে আছে। মগরাখালের উপর জাল,খড়িপাটা,ঝোপঝাড় ও খেজুর পাতার অবরোধে জল জমে আছে। জল নিষ্কাশনের ব্যবস্হা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। ধোবাবেড়িয়া, আমতলিয়া, আউরাই,বসন্তিয়া, দারিয়াপুর, বামুনিয়া, চালতি অঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন, পঞ্চায়েত সদস্য সেক বক্তিয়ার উদ্দিন, দীপু খাঁন, ফুলকুমার নায়ক,হোসেন আলি খাঁন, জাহির খাঁন,সেক সাবের প্রমুখ মগরা বেসিনের জলমগ্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন জানান, কাজলা গ্রামের সেক কুদ্দুস, ঝন্টু নায়ক,সামু চোপদার প্রমুখের বাড়ি ভেঙে পড়েছে। দুরমুঠ গ্রামের রতন গারু,জ্যোৎস্না গারু,যশোদা জানা প্রমুখের বাড়ি জলমগ্ন। গোটসাউড়ী বারিক পাড়ার বাড়ি জলের তলায়। রাস্তাঘাট জলে ডুবে আছে। আমফান ও ইয়াস দুর্যোগের পরে আবার নিম্নচাপের অতিবৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত। গ্রামে কর্মসংস্হানের অভাবে মানুষের দুর্দশা চরমে উঠেছে। ত্রিপল, খাদ্য সামগ্রী, গৃহ মেরামতির অনুদান সহ সমস্ত রকমের ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্দ করা সহ আশ্রয় শিবির খোলার অনুমোদনের লক্ষে রাজ্য সরকারের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি ও জেলা শাসককে ই-মেইল বার্তা পাঠিয়ে  আবেদন জানিয়েছেন প্রাক্তন সহকারী সভাধিপতি মামুদ হোসেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সদস্য তথা বিধায়ক উত্তম বারিকও অবিলম্বে ত্রাণ বিতরণের দাবি জানিয়েছেন।