ভোরের মহালয়ার ইতিহাস

author-image
Harmeet
আপডেট করা হয়েছে
New Update
ভোরের মহালয়ার ইতিহাস

 নিজস্ব সংবাদদাতাঃ শরতের বাতাসে কান পাতলে মনের মধ্য জেন একটা সুর ভেসে আসে মনে হয় মহালয়ার আর বেশি দিন বাকি নেই । আগামী ৬ ই অক্টোবর ২০২১ বুধবার মহালয়া । এই মহালয়া শুভক্ষণে রেডিও শোনার পরেই সাত সকালেই বাঙালির ঘরে টিভি চলে মা কে দেখার জন্য । কল্পনা হলেও তিনি যে “মা” তাই অধীর আগ্রহে বাঙ্গালির দর্শকরা থাকেন প্রতিবছরের দুর্গা অবতারে তাঁরা কাকে দেখতে পাবেন, সেই অপেক্ষই । আর মহালয়া মানেই বাঙ্গালিরা মনের মধ্য পুজর স্বাদ পাই। সেই দিন থেকে শুরু হয়ে য়ায় পূজর প্রাস্তুতি পর্ব ।

 পিতৃপক্ষের অবসান, দেবীপক্ষের সূচনার সন্ধিক্ষণই মহালয়া। এই দিন পূর্ব পুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর দিন। রামচন্দ্র লঙ্কাজয়ের আগে এমনটা করেছিলেন। সেখান থেকেই আসে তর্পণের ভাবনা। সাত দিনের মাথায় অকাল বোধন। সে দিক থেকে দেখলে মহালয়ার সঙ্গে সরাসরি পুজোর সম্পর্ক নেই। পিতৃপক্ষের শেষ দিনটায় পূর্বপুরুষকে স্মরণ করাটাই সনাতন ধর্মে হয়ে আসছে। “আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জীর; ধরণীর বহিরাকাশে অন্তরিত মেঘমালা…”

ভোর চারটে বাজতে না বাজতেই বাংলার ঘর ঘর থেকে ভেসে আসে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের গলা… এই একটা দিন, বোকা বাক্সের চেয়েও বড় বেশি কাছের মনে হয় বছরভর আলমারিতে উঠিয়ে রাখা আয়তাকার কালো বাক্সটাকে। বাঙালির স্মৃতি মেদুরতা একটা দিন, কাছের মানুষ ঘরে ফিরবে অথবা এবারেও ফেরা হবে না, মনে করিয়ে দেওয়ার দিন- মহালয়া।