​আধার কার্ড নিয়ে দুর্নীতি রুখতে অভিযান অন্ডাল বিডিও-র

author-image
Harmeet
New Update
​আধার কার্ড নিয়ে দুর্নীতি রুখতে অভিযান অন্ডাল বিডিও-র

হরি ঘোষ, অন্ডাল :- পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আধার কার্ড বানানোর হুড়োহুড়ি নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষদের মধ্যে লক্ষ্য করা যাচ্ছে ইদানীং । আর এরই সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী । পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় গোপনে অসাধু উপায়ে চলছে আধার কার্ড তৈরির কাজ, এমনটাই সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। যেমন লকডাউনের সময় গরিব মানুষদের ঠকাতে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী বেহিসেবি মুনাফা কামানোর কাজে নেমেছিল । ঠিক তেমনই এই সময় লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে আধার কার্ড বানানোর নাম করে বা আধার কার্ড আপডেটেশন করার জন্য সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব মানুষদের কাছ থেকে টাকা দাবি করছে। কারও কাছে ১০০০ টাকা,  কারও কাছে বা ১৫০০ টাকা দাবি করা হচ্ছে ।

সূত্র মারফৎ জানা যায়, ঘটনাটি ঘটেছে অন্ডাল থানার অন্তর্গত কাজড়া গোলা এলাকায়। কাজড়া গোলা এলাকায় এক দোকানদার আধার কার্ড আপডেট করার জন্য এক থেকে দেড় হাজার টাকা দাবি করছিল স্থানীয় গরিব মানুষদের থেকে। বেশ কিছু মানুষের থেকে প্রথমে ৫০০ টাকা করে নিয়েও ছিল ওই দোকানদার। অন্ডাল বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাসের কানে এ খবর আসতেই, একেবারে পুলিশ নিয়ে হাজির হন সেই দোকানে । দোকানে হানা দিয়ে দোকানের নথিপত্র দেখতে চান বিডিও সাহেব । ঠিক সেই সময় ওই দোকানে সশরীরে হাজির ছিলেন এক গরিব বৃদ্ধা মহিলা যিনি আধার কার্ড আপডেট করার জন্য পাঁচশো টাকা দোকানদারকে দিয়েছিলেন । আধার কার্ড আপডেট করার জন্য এত টাকা মানুষের থেকে নেওয়া যে গুরুতর অপরাধ সেটা অবগত করান দোকানদারকে বিডিও সাহেব। যদিও বিডিও সাহেবের উপস্থিতিতে সকলের সামনেই ক্ষমা চান সেই দোকানদার এবং ওই বৃদ্ধা মহিলাকে ৫০০ টাকা ফেরতও দেন। প্রথমবারের মতো দোকানদারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ছেড়ে দেন বিডিও সাহেব । বিডিও সুদীপ্ত বিশ্বাস জানান, "আধার কার্ড বানানোর জন্য বা আপডেট করার জন্য কেউ এভাবে কাউকে টাকা দেবেন না, প্রয়োজনে বিডিও অফিসে আসুন সবাইকে সাহায্যের জন্য বিডিও অফিস আছে। তিনি এলাকার মানুষদের এটাও বলে যান, এরকম ভাবে যদি কেউ কাউকে আধার কার্ড বানানোর নাম করে ঠকায় সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানাতে।