হরি ঘোষ, অন্ডাল: শাসকদলের ব্লক সভাপতি কালবরণ মন্ডলের বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে ছড়ালো চাঞ্চল্য। মঙ্গলবার সকালে পোস্টারগুলি দেখা যায় অন্ডালের বিভিন্ন এলাকায়। অন্ডাল ব্লক সভাপতির দাবি, ঈর্ষার কারণে কেউ বা কারা এই কাজ করেছে। অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার সকালে অন্ডাল পঞ্চায়েতের অন্ডাল গ্রাম, দুপচুরিয়া, অন্ডাল মোড় সহ বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কালবরণ মন্ডলের নামে একাধিক পোস্টার নজরে আসে। পোস্টার গুলিতে কালোবরন বাবুর বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সমিতির 72 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, কয়লা, বালি পাচারে যুক্ত থাকার অভিযোগের কথা লেখা রয়েছে। সকালে পোস্টারগুলি নজরে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। বিভিন্ন জায়গায় পোস্টারগুলি দেখতে ভিড় জমান কৌতুহলী বাসিন্দাদের একাংশ। পোস্টার কান্ডের কথা জানাজানি হতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন সবাই।
তবে এ বিষয়ে বিজেপির অন্ডাল মন্ডল সভাপতি জয়ন্ত মিশ্র জানান,"তৃণমূলের অধিকাংশ নেতাই দুর্নীতির সাথে যুক্ত। কালো বাবু সমিতির সভাপতি থাকাকালীন দুর্নীতি হয়েছে, তবে সেটার সাথে কোন কোন নেতা জড়িত এ বিষয়ে কিছু জানা নেই"। তিনি মনে করেন এটা হয়তো তৃণমূলের দলীয় কোন্দল। এই বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেন বিরোধী দলের নেতা জয়ন্ত মিশ্র।
যদিও এ বিষয়ে শাসক দলের একাধিক ব্লক নেতৃত্ব এর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে রাজি হয়নি। তবে যার বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই কালোবরন বাবু সংবাদ মাধ্যমের একাংশের কাছে জানান, ব্যক্তিগত ঈর্ষার কারণে কেউ বা কারা এই কাজ করেছেন। অভিযোগ অসত্য ও ভিত্তিহীন দাবি করে কালবরণ বাবু বলেন, তিনি এই বিষয়ে যে কোন তদন্তের মুখোমুখি হতেও রাজি। তদন্ত হলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে বলে জানান কালবরন বাবু । পোস্টার কাণ্ড নিয়ে শাসক দলের অন্দরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ঘটনার পেছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের তথ্যও উঠে আসছে। ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধান উপাধ্যায় জানান, পোস্টার কাণ্ডের কথা জানা নেই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তিনি।