হরি ঘোষ, রানীগঞ্জ: রানীগঞ্জের জেকে নগর এলাকায় উত্তেজনা। ইসিএলের আধিকারিকদের একাধিক গাড়ি ভাঙচুর স্থানীয়দের বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা গুরুতর জখম হয়েছে বলে জানান স্থানীয়রা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। গতকাল রানীগঞ্জের জেকে নগর কোলিয়ারির বেলিয়াবাথান গ্রামের সামনেই রাস্তায় ধস নামে। আজ সকাল থেকে বিক্ষোভে সামিল হয় এলাকাবাসী। কোলিয়ারি বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়রা। এরপরই ইসিএল কর্তৃপক্ষ খবর পেয়ে কোলিয়ারিতে পৌঁছয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে বচসা হয়। কোলিয়ারি বন্ধের হুমকি দেয় ইসিএল কর্তৃপক্ষ। গ্রামবাসীদের সমস্যার সমাধান না করে কোলিয়ারি থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন কোলিয়ারি আধিকারিক। সেই সময় ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয়। ঘটনাস্থলে ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনী যায়। গ্রামবাসীরা লাঠিসোটা, ইট-পাথর, ড্রাম দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করে ইসিএল কর্তৃপক্ষের গাড়ি । বিক্ষোভকে ঘিরে রণক্ষেত্র চেহারা নেয়। কোন প্রকারের প্রাণে বাঁচে ইসিএল কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, "২০১৯ সাল থেকে ইসিএল কর্তৃপক্ষের কয়লা খনির জেরে বেলিয়াবাথান গ্রাম সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মানুষদের সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। বহুবার চিঠি দেওয়া হয়েছে ইসিএল কর্তৃপক্ষকে। কিছুই লাভ হয়নি। অবশেষে আজ বিক্ষোভে সামিল হতে বাধ্য হয় গ্রামবাসীরা। ইসিএল কর্তৃপক্ষ গ্রামবাসীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। ইসিএল কর্তৃপক্ষকে সমস্যার কথা বললে কর্ণপাত করতে চাইছে না। ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্র বাহিনী ধাক্কা ধাক্কি করে।“
এই ঘটনা নিয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।