দেবাশিস বিশ্বাস, কোচবিহারঃ ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাসের খুন হয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী শাহিনুর রহমান। রবিবার সেই ঘটনার তদন্তে তুফানগঞ্জ মহকুমার চিলায়াখানায় তার বাড়িতে আসে সিবিআই এর ১৬ জন বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল। একই সাথে একই ঘটনায় আহত তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী রাজু সাহার পরিবারের সাথে দেখা করেন এই প্রতিনিধি দল। ঘটনায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল তুফানগঞ্জ থানায়। এদের মধ্যে মূল অভিযুক্ত রামপাল, বাসুদেব পাল, চিরঞ্জিত দাস কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বর্তমানে এরা তিনজন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।
প্রসঙ্গত,ভোট পরবর্তী হিংসায় নাটাবাড়ি বিধানসভা এলাকায় ৪মে চিলাখানা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিলাখানা হাইস্কুলের পাশে তৃণমূল কর্মী শাহিনুর রহমান নিখোঁজ হয়। এবং 5ই মে সকাল বেলা চিলাখানা শাহিনুর রহমানের ক্ষত বিক্ষত অবস্থায় ভুট্টা ক্ষেত থেকে দেহ উদ্ধার হয়। এই নিয়ে রাজনৈতিক গন্ডগোল শুরু হয়। এবং তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে তুফানগঞ্জ থানায় রামপাল, বাসুদেব পাল, সহ তিনজন কে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এর পর তিন মাস জেল খাটার পর, হাইকোর্টের জামিনে বেরিয়ে আসেন। এদিন সিবিআই প্রতিনিধি দল প্রথমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর বিজেপি কর্মী রাম পালের বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করেন ।
শাহিনুরের শ্রীমতি নাহিদা পারভীন বলেন, "পুলিশি তদন্তের সন্তুষ্ট না হওয়ার কারণেই আমরা সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিলাম। সিবিআই তদন্ত করতে এসেছে। তবে তারা কি ধরনের তদন্ত করছে সেটা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা। একই সাথে বিজেপির তরফ থেকে ক্রমাগত হুমকি আসছে। পরিবার নিয়ে আমরা যথেষ্ট আতঙ্কিত। পুলিশ ঠিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। আমরা সিবিআই উপরে ভরসা রাখার চেষ্টা করছি"। তাই একই ধরনের মন্তব্য করেন শাহিনুরের বোন। তার কথা অনুসারে, জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর অভিযুক্তরা তাদের ওপর যথেষ্ট হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে। আজ তারা সিবিআই প্রতিনিধী দের সাথে দেখা করেছেন। তাদের গোটা বিষয়টি বুঝিয়ে বলেছেন। সিবিআই এর তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত তদন্ত বিষয়ে কোনো রকম ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। তবে সূত্রের মাধ্যমে জানানো হয়েছে তারা আরও বেশ কয়েকদিন কোচবিহারে তদন্ত চালাতে পারেন।