নিজস্ব সংবাদদাতাঃ তালিবানের গুলিতেই প্রায় মৃত্যুর মুখে পৌঁছে গিয়েছিলেন মালালা ইউসুফজাই। ২০ বছর পর আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফিরে সেই তালিবান যখন মহিলাদের পড়াশোনা বা চাকরি করার কথা বলছে, তখন তাদের বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ছে সে দেশের মহিলাদের জন্য। একটা সময় তালিবানি শাসনে পড়াশোনা বা চাকরি তো দূরের কথা বাড়ি থেকে বেরনোর কথাই ভাবতে পারতেন না মহিলারা। কিন্তু মাঝে পাল্টেছিল সময়। মার্কিন সেনার উপস্থিতিতে মসনদ ছেড়ে সরে গিয়েছিল তালিবান। হিজাব খোলার সাহস পেয়েছিল মহিলারা। সেই সময়েই অনেক স্বপ্নের শুরু। কিন্তু এ বার সে সবের ভবিষ্যৎ কী? দেশের মধ্যে সর্বাধিক নম্বর পেয়েও তাই দুশ্চিন্তায় রয়েছে আফগান ছাত্রী স্যালগি বরন ।
১৮ বছরের স্যালগি চিকিৎসক হতে চেয়েছিল। সেইমতো পড়াশোনাও চলছিল পুরোদমে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের ‘স্যাট’ সমতুল একটি পরীক্ষায় দেশের মধ্যে সর্বাধিক নম্বর পায় সে। আফগানিস্তানের সবথেকে বড় মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগও মেলে। কিন্তু, আদৌ কী পড়াশোনা এগোতে দেবে তালিবান? মহিলা হয়ে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে স্যালগি? এটাই এখন তার পরিবারের সবথেকে বড় প্রশ্ন। স্যালগির আপাতত আফগানিস্তানেই রয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে এই ছাত্রী বলেছে, ‘আমি আপাতত ভয় পাচ্ছি না। কিন্তু ভবিষ্যত নিয়ে ভয় পাচ্ছি। আমাকে আর পড়াশোনা করতে দেবে তো?