নন্দিনী চক্রবর্তী, বিখ্যাত পরিবেশবিদঃ- ইন্দ্রানী পার্ক- দক্ষিণ কলকাতার প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড ও পার্কের আশেপাশের বাসিন্দাদের কাছে খুবই প্রিয়। এই পার্ক সংলগ্ন জলাশয়টি এলাকার সবচেয়ে বড় জলাশয়। গ্রীষ্মকালে এই জলাশয়ের ঘাটে প্রচুর মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
২০০৬ সালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারং বিভাগ এই পার্ক তৈরি করেছিল। অর্থ সাহায্য করেছিল এমপি এলডি ফান্ড। গত ১৬ বছর ধরে আমি এই পার্কের রক্ষণাবেক্ষন করে আসছি। এই জলাশয়ে প্রচুর গোল্ডেল রুই ও অন্যান্য মাছ ছাড়া রয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের টাকা বা টিফিন বাঁচিয়ে এই মাছদের খেতে দেয়।
একটি অস্থায়ী 'গ্রিণ হাউস' রয়েছে। সেখানে ফার্ণ, বনসাই এর মতো প্রচুর দেশী-বিদেশী গাছ লাগান রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত পার্কটি খোলা থাকে। তবে আগে সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকত পার্কের দরজা। প্রতি শীতে বাগানগুলি প্রতিটি বৈচিত্র্যের ফুলের বিছানা, পিটুনিয়া, ফ্লক্স, জিরেনিয়াম, অ্যাস্টার, স্ন্যাপ ড্রাগন, হলিহক, সালভিয়া দিয়ে স্থাপন করা হয় যা একটি আনন্দদায়ক। ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে বার্ষিক কৃষি হর্টিকালচারাল ফ্লাওয়ার শোতে টানা চার বছর ধরে বাগানটি তার বিভাগে সেরা বাগান হিসাবে পুরষ্কার জিতেছে।
তবে এখন এই জায়গাটি হারিয়ে যাওয়ার মুখে, কারণ মাটির ক্ষয়ের কারণে ঘাটের দিকে যাওয়ার পুরো পদক্ষেপগুলি ভেঙে পড়েছে। প্রতিদিন আরও ক্ষতি বাড়ার কারণে ট্যাঙ্ক সংলগ্ন হাঁটা পথটি প্রতিদিন ভেঙে পড়ছে। পার্কের ভাগ্য কী হবে? বড় প্রশ্ন সেটাই।
(প্রকাশিত মতামতগুলি লেখকের একান্ত ব্যক্তিগত)