করোনার প্রভাব পড়ছে মৃৎ শিল্পে

author-image
Harmeet
New Update
করোনার প্রভাব পড়ছে মৃৎ শিল্পে

​সুদীপ ব্যানার্জী, জলপাইগুড়িঃ  করোনার পাশাপাশি বৃষ্টি দোসর হয়ে দাঁড়িয়েছে মৃৎশিল্পে। দেড় বছর ধরে করোনার প্রকোপে জনজীবন বিপর্যস্ত ।স্বাভাবিক ভাবেই অন্যান্য জীবিকার পাশাপাশি মৃৎ শিল্পে দারুণ ভাবে প্রভাব পরেছে। গতবছর শারোদৎসব সহ অন্যান্য পুজোগুলিতে তেমন ভাবে কোনো জাকজমক ছিলনা।স্বাভাবিক ভাবেই মৃৎশিল্পীদেরও এই সমস্যা পোহাতে হয়েছে। এবারও পরিস্থিতি একই রকম। পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে প্রবল বৃষ্টিও সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়েছে। এখনও পর্যন্ত দুর্গাপ্রতিমা তো বটেই বিশ্বকর্মা প্রতিমারও বায়না সেভাবে হয়নি।জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার শহরের মৃৎশিল্পীরা পার্শ্ববর্তী পাহাড়ী এলাকার জন্যও প্রতিমা তৈরি করেন। পাহাড়ী এলাকার জন্য মূলত ছোট আকৃতির প্রতিমা তৈরি হয়। এবার এ ধরনের প্রতিমার বিক্রি নিয়েও আশঙ্কার মেঘ জমেছে।মাল শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে মৃৎশিল্পীদের কারখানা আছে।



অধিকাংশ কারখানা অস্থায়ী। ক্লাব বা কোন জমি ভাড়া নিয়ে মৃৎশিল্পীরা প্রতিমা তৈরি করেন। কারখানাগুলি সাধারণত বাঁশের চাটাই দিয়ে ঘেরা। উপরের ত্রিপল টাঙানো থাকে। মৃৎ শিল্পীদের কারখানাগুলোতে অনেক কর্মচারী রয়েছেন। গতবছর করোনার জেরে পুজোর জৌলুস অনেকটা কম ছিল। পুজোর সংখ্যাও কমে গিয়েছিল। মৃৎ শিল্পীদের ব্যবসা একেবারেই ভাল হয়নি। অনেক মৃৎশিল্পীদের তৈরি প্রতিমাও বিক্রি হয়নি। এবারও তেমন আশঙ্কাই করছেন অনেকে। মৃৎশিল্পীদের একাংশ জানিয়েছেন তাঁরা আশঙ্কা নিয়েই প্রতিমা তৈরি করছেন। কবে যে পরিস্থিতি ভালো হবে সেটা জানা নেই। মাল শহরের থেকে অনেক প্রতিমা পাহাড়ে যায়। কালিম্পং জেলার গরুবাথান ব্লকের পাহাড়ি এলাকাগুলি মাল শহরের উপরে নির্ভরশীল। সাধারনত মাল শহরের মৃৎশিল্পীরা পাহাড়ি এলাকার জন্য ছোট আকৃতির প্রতিমা তৈরি করেন। এবারও কারখানাগুলোতে পাহাড়ের জন্য ছোট আকৃতির প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রতিমাগুলির বিক্রি নিয়েও চিন্তা রয়েছে মৃৎশিল্পীদের। ধারাবাহিকভাবে প্রবল বৃষ্টি শিল্পীদের বৃষ্টি সমস্যা বাড়িয়ে তুলেছে। অনেক কারখানায় জল ঢুকে পড়ায় প্রতিমা শুকোতে বেশি সময় লাগছে।এই কঠিন পরিস্থিতিতে সরকারের সাহায্য দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।