পোস্তর বাজারে টান

author-image
Harmeet
New Update
পোস্তর বাজারে টান

​হরি ঘোষ, দুর্গাপুরঃ আফগানিস্তানে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য ভারতের বাজারে শুকনো ফলের সঙ্গে ধাক্কা খাচ্ছে পোস্ত। টান পড়ছে দুর্গাপুরের বাজারেও। কেন্দ্র সরকার যদি এগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রাখত, তাহলে সংকট দেখা দিত না ভারতের বাজারে। অভিযোগ দুর্গাপুরের ক্রেতা থেকে বিক্রেতার। আফগানিস্তান থেকেও এরাজ্যে আসতো পোস্ত । তুরস্ক হয়ে মুম্বই থেকে কলকাতায় ঢুকত। এরপর গোটা রাজ্যের  বাজারগুলিতে পৌঁছাত তা। এই পোস্তটা ব্যবসায়ীদের কাছে তুর্কি পোস্ত হিসেবেও পরিচিত। করোনা পরিস্থিতির সময় থেকেই কম পরিমাণে আসতে থাকে সেই পোস্ত। বর্তমানে তালিবানরা যেভাবে আফগানিস্তান দখল করছে তার ফলে ভারতের সাথে আফগানিস্তানের পুরোপুরিভাবেই রপ্তানি এবং আমদানি বন্ধ। অন্যদিকে শুকনো খাবারের মধ্যে চমন কিসমিস, আনজির, মনাক্কা এ রাজ্যে আছে। আফগানিস্তানের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ভারতের বাজারে এগুলির প্রভাব পড়ছে। প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দাম বেড়েছে। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে বিক্রেতাদের। অন্যদিকে বাঙালির প্রিয় খাদ্য পোস্ত। বর্তমানে প্রায় ২০০০ টাকার কেজি। যার জন্য পাতে পোস্ত পড়ছেনা। অধিকাংশ ক্রেতা এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকেই দায়ী করছে। পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার মজুদ নেই ভারতে সেই জন্য কোন খাবার আসছেনা বাজারগুলিতে। দুর্গাপুর নগর নিগমের দু'নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান রমাপ্রসাদ হালদার ও কেন্দ্রীয় সরকারের ভ্রান্তনীতি কে দায়ী করে বলেন কেন্দ্রীয় সরকার যদি শুকনো খাবার মজুত রাখত তাহলে এত দাম দিয়ে কিনতে হতো না মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষকে।