নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ সপরিবারে মায়াপুর ইসকন বেড়াতে গিয়েছিলেন শিক্ষক দম্পতি। দুদিন পর বাড়ি ফিরে দেখেন একের পর এক দরজায় তালা ভাঙা, বাড়ির ভিতরে থাকা একাধিক আলমারিও তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে, তছনছ গোটা বাড়ি। এমনই চাঞ্চল্যকর চুরির ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা থানা থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চন্দ্রকোনা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড গাজীপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, চুরি হওয়া বাড়ির মালিক সুব্রত ব্যানার্জী ও স্ত্রী যূথী ব্যানার্জী, তাদের দুই সন্তান রয়েছে। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই স্কুল শিক্ষক, সুব্রতবাবু চন্দ্রকোনার ক্ষীরপাই হাইস্কুলের সহ শিক্ষক এবং তার স্ত্রী যূথী ব্যানার্জী চন্দ্রকোনা পৌর এলাকার ঠাকুরবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষিকা। শিক্ষক দম্পতি জানান, গত সোমবার দুপুরে সপরিবারে মায়াপুর ইসকন বেড়াতে গিয়েছিলেন, ফিরেন বুধবার সন্ধ্যার পর। বাড়ি ফিরে অক্ষত অবস্থায় থাকা মূল দরজা খুলে দেখেন ভিতরের গ্রীলে তালা ভাঙা পাশাপাশি রুমের একাধিক দরজা তালা ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। এমন ঘটনা নজরে আসতেই শিক্ষক দম্পতির বুঝতে অসুবিধে হয়নি যে ফাঁকা বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ির একতলা ও দু'তলার একাধিক রুমে গিয়ে দেখেন সব তছনছ অবস্থায় পড়ে রয়েছে, পাঁচটি আলমারির মধ্যে কোনওটার তালা ভাঙা, মেঝেতে উল্টানো রয়েছে, আবার কোনও আলমারির তালা ভেঙে সবকিছু লুট করে নিয়ে গেছে, কোনও আলমারির তালা ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছিল তাতে ভারি যন্ত্রের আঘাত রয়েছে। বাড়ির উঠোন থেকে মিলেছে একটি স্ক্রু-ড্রাইভার ও গামছা। বাড়ির পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢুকে একের পর এক দরজার তালা ভেঙে রুমের ভিতরে ঢুকে লুটপাট চালানো হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। শিক্ষক দম্পতি জানান, সকলে বেড়াতে চলে যাওয়ায় বাড়ি ফাঁকা ছিল, দু'দিন পর ফিরেছি তারই মাঝে এই চুরির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার খবর দেওয়া হয় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে গিয়েছে এবং চুরির ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষক দম্পতি। বাড়িতে নগদ কিছু টাকার পাশাপাশি লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা ছিল সবকিছুই নিয়ে গিয়েছে বলে জানান শিক্ষক দম্পতি। উল্লেখ্য,ওই শিক্ষক দম্পতির বাড়ির ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে রয়েছে চন্দ্রকোনা থানা আর চন্দ্রকোনা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড, এমন জনবহুল এলাকায় বাড়িতে তালা ভেঙে রীতিমতো তছনছ করে লুটপাটের ঘটনায় স্তম্ভিত ওই শিক্ষক দম্পতি। ঘটনার তদন্তে চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ।