পশ্চিম মেদিনীপুরের চাঁদড়া, পিড়াকাটা, গোয়ালতোড় এলাকাতে নির্দিষ্ট পয়েন্টে গাড়ি ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে যাওয়া ও নিয়ে আসার কাজ করে তারা। এর মাঝেও অনেকেই বাইক বা অন্যভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার চেষ্টা করলে জঙ্গলের রাস্তায় থাকা বনকর্তা ও বনকর্মীরা তাদের আটকে পরবর্তীকালে পরিবহন দপ্তরের দেওয়া গাড়ি গুলিতে যাতায়াতের জন্য পরামর্শ দেয়। এমনই চিত্র দেখা গিয়েছে চাঁদড়ার জঙ্গলে। কলসীভাঙ্গা হাইস্কুলের দুই ছাত্রী একটি মোটর বাইকে করে জঙ্গল পথ দিয়ে আসছিল। চাঁদড়ার রেঞ্জার সুজিত পন্ডা তাঁদের আটকে জানিয়ে দেন, বাইকে না এসে সরকারী ভাবে যে বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে তাতে আসার জন্য। সেই সঙ্গে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন বাজার গুলিতে হ্যান্ড মাইকিং করে বনদপ্তর জানিয়ে দেয় পরিবহন দপ্তর ও বনদপ্তরের পরিবহন সুবিধার কথা।
শিক্ষক থেকে ছাত্র-ছাত্রী সকলেই জানায়, এই ব্যবস্থায় আর্থিক ও পথ নিরাপত্তা দু'দিক থেকে সুবিধা হল মাধ্যমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের। তবে মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনের এই আয়োজন ছিল খানিকটা ভিভিআইপিদের মত। এক প্রকার আপ্যায়ন করে বাসে ছাত্র-ছাত্রীদের তোলা, সেইসঙ্গে বাসের সামনে ঐরাবত গাড়ির হুটার বাজিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া স্বস্তি এনে দিয়েছে অভিভাবকদের জন্যও। কলসীঙাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সরকার বলেন, "খুবই ভালো উদ্যোগ। সারা বছর এই এলাকায় হাতি থাকে। জমির ফসলের পাশাপাশি ঘরবাড়ি ভাঙার ঘটনাও ঘটেছে। জঙ্গল পথ পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয় ছাত্র ছাত্রীদের। ছোট গাড়ির ব্যবস্থা হলে সরাসরি জঙ্গলের ভেতরে থাকা গ্রামগুলি থেকে পরীক্ষার্থীদের আসার সুবিধা হত।"