নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের বান্দিপুর ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের মামুদপুর গ্রামে বসবাস করেন হারাধন দাস ও বাপি দাস। এরা দুজনে প্রতিবেশী বলে জানা যায়। তবে গ্রামেরই একটি জায়গাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন এই দুই প্রতিবেশীর মধ্যে বিবাদ লেগেই রয়েছে। ওই জায়গার দাবিদার দুই পক্ষই বলে দাবি হারাধন দাস ও বাপি দাসের। এ নিয়ে দুই পক্ষই মাঝে মধ্যে বিবাদে জড়িয়েছে আগেও। হারাধন দাসের দাবি,গত তিন দিন আগে তার বাড়ির সামনে বাঁশের বেড়া দিয়ে দেয় অপর প্রতিবেশী বাপি দাস। এ নিয়ে প্রশাসনের কাছে বিষয়টি জানানো হয়েছিল বলে দাবি হারাধন দাসের। অপরদিকে বাপি দাস অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা দাবি করেন, গতকাল হারাধন দাস তাদের যাতায়াতের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দিয়ে দেয়। আর এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলেই উল্টে হারাধান দাসের লোকজন গালিগালাজ শুরু করে দেয়। আর এ নিয়ে গতকালই দুই পক্ষের মধ্যে বচসা ও মারধরের মতো ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
গতকাল রাতে হারাধন দাসের পরিবারের দুজন সদস্য আহত হয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় বলে জানা যায়। আর গতকালের উত্তেজনার রেষ আজও বজায় থাকে। পরিস্থিতি চরম আকার নেয় আজ মঙ্গলবার সকালেও। জানা যায়, দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় তুমুল সংঘর্ষ, লাঠিসোঁটা নিয়ে চড়াও হয় একে-অপরের দিকে। ঘটনায় নতুন করে আহত হয় উভয়পক্ষের ১০ জন। বাদ যায়নি মহিলা ও শিশুও। তাদের সকলকেই নিয়ে যাওয়া হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে। উভয়পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে চন্দ্রকোনা থানায়। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে মামুদপুর গ্রামে। এ বিষয়ে চন্দ্রকোনা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা এলাকার তৃণমূল নেতা হীরালাল ঘোষের দাবি, 'দীর্ঘদিন ধরে দুই পরিবারের বিবাদ রয়েছে। একাধিক বার আলোচনায় বসেও সমাধান হয়নি। এরপর আজ চরমে উঠেছে উত্তেজনা। পুলিশ প্রশাসনকে বলবো বিষয়টি নিয়ে যাতে উভয় পক্ষকে নিয়ে দ্রুত সমাধান করে দেওয়া যায়।' এতে রাজনৈতিক কোনো যোগ নেই, নিছকই এটি একটি জায়গা সংক্রান্ত দুই পরিবারের বিবাদ বলে তিনি জানান।