নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ইতিমধ্যে বন্ধ হয়েছে অন্ডালের পড়াশকোল ইস্ট কোরিয়ারি। কোলিয়ারি বন্ধ হওয়ার সুবাদে বন্ধ হয়েছে খনির নিচে বিস্ফোরণ, আর সে কারণেই বন্ধ এলাকায় জলের সরবরাহ বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের। এই দাবি সামনে রেখেই সোমবার কাজোরা এরিয়ার এজেন্টকে ঘেরাও করলেন সংশ্লিষ্ট খনি শ্রমিক এবং স্থানীয়রা।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের সম্পাদক সুদর্শন সিং বলেন, খনির নিচে কয়লা উৎপাদনের পর ফাঁকা জায়গায় বালি দিয়ে ভরাট করার নিয়ম চালু আছে ইসিএল জুড়ে। কিন্তু এই পড়াশকোল কোলিয়ারির এজেন্ট পিওভি নামক সিস্টেমের মাধ্যমে খনির নিচে ফাঁকা স্থান ভরাট করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। "পিওভি" হল এমন প্রযুক্তি যার মাধ্যমে পাথরকে ডাস্ট বানিয়ে খনির নিচে ফাঁকা স্থান ভরাট করার পরিকল্পনা। কিন্তু খনি শ্রমিকদের দাবি, বিগত তিন মাসে POV দ্বারা খনির নিচে সঠিকভাবে ভরাট হচ্ছে না। এছাড়া ফাঁকা স্থান ভরাট করতে লাগে প্রচুর পরিমাণে জল, যেটা এই কোলিয়ারিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই বলে দাবি খনির শ্রমিকদের। আর প্রচুর পরিমাণে জল লাগার কারণে খনি এলাকায় দেখা দিয়েছে জল সংকট, ইসিএল আবাসনে পৌঁছাচ্ছে না জল, এমনটাই ইসিএল আবাসনের আবাসিকদের অভিযোগ। খনি শ্রমিকরা জানান, অবিলম্বে এই পিওভি প্রযুক্তি বন্ধ করতে হবে। তার পরিবর্তে পুরনো সেই খনির নিচে বালি ভরাট পদ্ধতি চালু রাখতে হবে। নেতা সুদর্শনবাবু অভিযোগ করেন, ইসিএল কর্তৃপক্ষ খনি বন্ধ করে এই এলাকায় খোলা মুখ খনি তৈরির পরিকল্পনা করছে। আর এই পিওভি প্রযুক্তির ফলে কোলিয়ারির 'বি' পিট ইতিমধ্যেই বন্ধ, বাকি রয়েছে 'এ' পিট, যা অবিলম্বে বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খনি শ্রমিকদের দাবি, তারা কোনও মতেই এই খনি বন্ধ হতে দেবেন না। এই ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির ইসিএল আধিকারিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।