নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ সাড়ে ৮ বছর পর মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পেলেন নেতাই কাণ্ডে প্রধান অভিযোগের তালিকায় থাকা ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। তাদের স্বাগত জানাতে বাম যুবক কর্মীরা উপস্থিত হয়েছিলেন সংশোধনাগার চত্বরে। জেল থেকে বেরোতেই গলায় মালা পরিয়ে স্লোগান দিতে দিতে তাদের হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পুলিশ লাইন পর্যন্ত। জেল থেকে বেরিয়ে "মাটি পুনরুদ্ধারের" বার্তা দিয়ে ঝাড়গ্রামের উদ্দেশ্যে রহনা দেন ডালিম পাণ্ডে ও তপন দে। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি লালগড়ের নেতাই গ্রামে গণহত্যার ঘটনা ঘটেছিল। অভিযোগ ছিল স্থানীয় রথীন দণ্ডপাটের বাড়ি থেকে সিপিআইএমের আশ্রিত সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছিল। তাতে ঘটনাস্থলে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ২৮ জন গ্রামবাসী। এই ঘটনায় রথীন দণ্ডপাট সহ স্থানীয় সিপিআইএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ "সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরবে", সাড়ে ৮ বছর জেল খেটে মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে ঘোষণা ডালিম পান্ডেরনেতা অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে, তপন দে, ফুল্লরা মণ্ডল সহ মোট ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সকলেই ফেরার হয়ে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে সাড়ে আট বছর আগে তপন দে, অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডেকে তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ হায়দ্রাবাদ থেকে গ্রেফতার করেছিলেন। এই কাণ্ডে মোট ১৯ জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার মোট ৯ জন জামিনে মুক্তি পেলেন। অন্যদিকে লালগড়ের একদা দাপুটে সিপিএম নেতা অনুজ পাণ্ডেরও ওই একই মামলায় জামিনের আর্জি গৃহিত হয়েছে। কিন্তু তাঁর মুক্তি নির্দেশ সংশোধনাগারে এসে না পৌঁছনোয় তিনি ছাড়া পাননি। জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ফের লড়াই করে মাটি উদ্ধারের বার্তা দিয়ে গেলেন ডালিম পাণ্ডে, তপন দে-রা।