জলপাইগুড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামের তীর্থভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োরের পাল!

author-image
New Update
জলপাইগুড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামের তীর্থভূমিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে শুয়োরের পাল!

সুদীপ ব্যানার্জী, জলপাইগুড়ি:  জলপাইগুড়িতে স্বাধীনতা সংগ্রামের তীর্থভূমিতে দেদার ঘুরে  বেড়াচ্ছে শুয়োরের পাল। শহরের পান্ডাপাড়ার হরিজন বস্তিতে গেলে প্রতিদিনই এই দৃশ্য দেখা যাবে।  ১৯৩৯ সালে এখানেই বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেসের অধিবেশন হয়েছিল। এই সম্মেলন মঞ্চ থেকেই সুভাষচন্দ্র বসু ইংরেজকে ভারত ছাড়া করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। জলপাইগুড়িতে বঙ্গীয় প্রাদেশিক কংগ্রেস সম্নেলনে তখন এসেছিলেন শরৎ বসু,  কমিউনিস্ট নেতা বঙ্কিম মুখোপাধ্যায়,  বিশ্বনাথ মুখোপাধ্যায়ের পাশাপাশি সুরেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে এতদিনেও স্মারক হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। স্বাধীনতা দিবসে এখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় না। শুয়োয়ের পাল চষে বেড়ালেও পুরসভা কার্যত নীরব দর্শক।অবশ্য, পুরসভার পক্ষ থেকে হরিজন বস্তিতে নেতাজির মর্মর মুর্তি স্থাপন করা থেকে গবেষণা কেন্দ্র স্থাপণ করার মতো গালভরা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর সূত্রে জানা গিয়েছে,  দ্রুত হরিজন বস্তিতে নেতাজির মুর্তি স্থাপনের চেষ্টা করা হচ্ছে।