অবৈধভাবে বালি পাচার ও মজুদের অভিযোগে চাপে পড়ল তৃণমূলের

author-image
Harmeet
New Update
অবৈধভাবে বালি পাচার ও মজুদের অভিযোগে চাপে পড়ল তৃণমূলের

​নিজস্ব প্রতিনিধি, কাঁকসাঃ চালান ছাড়াই অবৈধভাবে অজয় নদ থেকে বালি পাচার এবং বালি মজুদের অভিযোগে অশান্ত কাঁকসা। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত কাঁকসার বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এবং এক ইঁটভাটা মালিক এই কারবারের সঙ্গে জড়িত। 



সোমবার সন্ধ্যায় বাজেয়াপ্ত করা হয় দুটি ট্রাক্টর। মঙ্গলবার ট্রাক্টরগুলির নাম্বারের মালিকানা দেখে অবৈধভাবে বালি পাচারের মামলা রুজু করা হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী। সোমবার সন্ধ্যায় কাঁকসার বিদবিহারের অজয় নদের শিবতলা ঘাট থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে পাচারের সময় দুটি বালিভর্তি ট্রাক্টর বাজেয়াপ্ত করে কাঁকসা থানার পুলিশ। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূল পরিচালিত বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী উজ্জ্বল সো এবং বিদবিহারের এক ইটভাটা মালিক তাপস ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ বালি পাচারের সাথে জড়িত। পাশাপাশি বিদবিহারের বাসুদেবপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পাশে বালি মজুদ রাখারও অভিযোগ উঠছে স্থানীয় যুবক বুদ্ধদেব ঘোষের বিরুদ্ধেও। রাজ্য জুড়ে অবৈধভাবে বালি পাচার রুখতে একাধিক কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। 




বিভিন্ন সময় ব্যবস্থা নিচ্ছে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর এই অবৈধ কাজের জড়িত থাকার নাম সামনে আসায় সমালোচনায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। যদিও বিদবিহার গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী উজ্জ্বল সো দাবি করেন, ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারা অবৈধ বালি পাচারের সাথে জড়িত না। তাঁর দাবি, মন্দির তৈরির জন্য এই বালি আনা হচ্ছিল। বিজেপি বর্ধমান সদরের জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা দাবি করেন, তাদের তরফ থেকে একাধিকবার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কাঁকসা থানায়। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী অবৈধভাবে বালি পাচারের সাথে জড়িত হাস্যকর বিষয় বলেও তিনি কটাক্ষ করেন। এ বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সমীর বিশ্বাস বলেন, অবৈধভাবে কেউ যদি কোনও কাজের সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলেরও কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের পাশাপাশি দলের তরফ থেকেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।