বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ, ধ্বস্তাধস্তি, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী

author-image
Harmeet
New Update
বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ, ধ্বস্তাধস্তি, ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী


হরি ঘোষ, দুর্গাপুর :
রেলের উচ্ছেদকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড দুর্গাপুরের মায়া বাজারের বিজয়নগর এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোড়ুই এলে তাঁকে উচ্ছেদ হওয়া স্থানীয়দের নিয়ে বিজেপি বিধায়ককে গো ব্যাক স্লোগান শুরু করে দেয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। শুরু হয় বিজেপি বিধায়ককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, ধ্বস্তাধস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। এদিকে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের রোষ থেকে উদ্ধার করা হয় দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ককে। গোটা ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে মায়া বাজার বিজয় নগর এলাকায়। কেন এতদিন বিজেপি বিধায়ক খোঁজ খবর নেয়নি? আজ কেন এসেছেন? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয় স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। দুর্গাপুরের মায়া বাজারের বিজয় নগরে প্রায় ৪০টি পরিবার রয়েছে। এদের রেল নোটিস দেয় উচ্ছেদের, এরপর আজ সকালে রেল বিজয়নগর এলাকায় উচ্ছেদ করতে এলে স্থানীয়রা শুয়ে পড়ে রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। রেল আধিকারিকদের ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ চলবে না, এই দাবিতে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব চলে আসে বিজয় নগর এলাকায়। এদিকে খবর পেয়ে রেলের কাছে উচ্ছেদের আগে পুনর্বাসনের দাবি জানাতে আসেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই। তখনই কার্যত স্থানীয়দের নিয়ে মারমুখী হয়ে ওঠে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। শুরু হয় গো ব্যাক স্লোগান। একটা সময় লক্ষ্মণ ঘোড়ুইকে ঘিরে ধরে শুরু হয় ধ্বস্তাধস্তি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। রেল উচ্ছেদ প্রক্রিয়া বন্ধ রেখে চলে গেলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে ওঠে। পুলিশ কোনোরকমে বিজেপি বিধায়ককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যায়। এদিকে তৃণমূলের গুন্ডারা মদ খেয়ে এই হেনস্থা করলো বলে অভিযোগ করেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ চন্দ্র ঘোড়ুই।