দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর: নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে পৌঁছে গেছে বাড়ির দোরগোড়ায়। নদীগর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এমনই চিত্র উঠে এসেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার চাঁদড়া এলাকায়। মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম (ভায়া ধেড়ুয়া) সড়কের উত্তর দিকে জঙ্গল আর দক্ষিণে বয়ে গেছে কংসাবতী নদী। মাঝে বসবাস কয়েক হাজার পরিবারের। জঙ্গলের পাতা, কাঠ সংগ্রহ করে আর নদীর তীরে চাষাবাদ করে সংসার চলে বহু পরিবারের। দিনকয়েকের প্রবল বর্ষণ আর জলাধারের ছাড়া জলে কয়েকশ বিঘা কৃষি জমি জলের তলায়। বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ভাঙছে নদীর পাড়। ভাঙতে ভাঙতে এবার তা পৌঁছে গিয়েছে বাড়ির দুয়ারে। চাঁদড়ার ধ্বজিধরা এলাকায় এমন ৪-৫ টি বাড়ি বর্তমানে নদীর তীরে অবস্থান করছে। পাশাপাশি আরও অনেক বাড়ি রয়েছে। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। তারা জানান, যেভাবে নদীর পাড় ভাঙছে তাতে যেকোনো সময় নদীতে ধসে পড়বে বাড়ি। রাতে না জেগে থাকলে বাড়ি ভেঙে বিপদ হতে পারে আমাদেরও। নদীর জল বাড়লে যেকোনো মূহুর্তে তলিয়ে যেতে পারে বাড়িগুলি। অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনোরকম সহযোগিতা পাওয়া যায় নি। অনেকে অভিযোগ করেন ত্রিপল পর্যন্ত দেয়নি পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের পক্ষ জানা গিয়েছে, ওই পরিবারগুলিকে অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা দে মৈত্র। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে।