নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুরে: হাতির হানায় ক্ষয়ক্ষতি নতুন নয়, তবে তার পরিমাণ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। জমির ফসলের ক্ষতি, বাড়ি ভাঙার পাশাপাশি ঘটছে মৃত্যুর ঘটনাও। অনেক সময় অসচেতন ভাবে হাতির কাছাকাছি চলে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ আবার হাতির লেজ ধরে টানাটানিও করছেন। তাতে যেকোনো সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা। বন দফতর থেকে সচেতনতার প্রচার চললেও হুঁশ ফেরেনি এখনও। এদিন সচেতনতার প্রচার চালালেন মেদিনীপুর বনবিভাগের বনকর্মীরা। শালবনী ব্লকের ভাদুতলা বনাঞ্চলের হাতি উপদ্রব জোড়াকুশমা, শুশনিবাড়ি, বাগমারি প্রভৃতি গ্রামগুলিতে প্রচার চালালেন আধিকারিক সহ বনকর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন, মেদিনীপুর বনবিভাগের এডিএফও বিজয় চক্রবর্তী, ভাদুতলার রেঞ্জার পাপন মোহন্ত, বীট অফিসার প্রণব দাস, 'শের' এর কর্ণধার জয়দীপ কুন্ডু সহ অন্যান্যরা।
বন দফতর সূত্রে খবর, ২০২১ সালে এখনও পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ৪ ও ঝাড়গ্রামে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে হাতির হানায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি ও কৃষি জমির। জমির ফসল বাঁচাতে স্থানীয়রা অনেক সময় জমিতে ইলেকট্রিক তারের বেড়া দেন। সে বিষয়ে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয় এদিন। "বাঁচবে ওরা, বাঁচাবো মোরা" কার্যত এই স্লোগানকে সার্থক করার লক্ষ্যে বিশ্ব হাতি দিবসে প্রচার চালালো বন দফতর। পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "শের"-এর উদ্যোগে, বনদফতরের ব্যবস্থাপনায় ওই এলাকার শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর হাতে এক বছরের প্রয়োজনীয় শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। সহযোগিতা করেছে 'জঙ্গলমহল উত্তরণ ঐক্য'। ভাদুতলার রেঞ্জার পাপন মোহান্ত জানান, নিজস্বী তুলতে বা মদ্যপ অবস্থায় অসচেতন ভাবে হাতির কাছাকাছি চলে যান অনেকে। তাতে বিপদ ঘটছে অনেক সময়। হাতি এলাকায় থাকলে কি করবেন বা করবেন না এ সমস্ত বিষয়ে হাতি দিবসে সচেতনতার বার্তা দেওয়া হয়েছে।