নিজস্ব সংবাদদাতাঃ ভারতের প্রখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী সুভাষচন্দ্র বসুর সমগ্র জীবন কোনও চলচ্চিত্রের গল্পের চেয়ে কম নয়। যার মধ্যে অ্যাকশন, রোমান্স আর রহস্য এই তিনটিই রয়েছে। সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন একজন বাস্তব জীবনের নায়ক যিনি দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিলেন। যিনি ব্রিটিশদের দাসত্ব মেনে না নিয়ে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। তাদের প্রেমজীবনও বেশ আকর্ষণীয় ছিল। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু সবার কাছেই রহস্য। মৃত্যুর এত বছর পরেও তিনি আসলে কীভাবে মারা যান তা জানা যায়নি। তার মৃত্যুর বিষয়ে যে তদন্ত হয়েছিল তাও কিছু সঠিক উপসংহার দিতে পারেনি। আসুন জেনে নেওয়া যাক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মৃত্যু কেন রহস্যময়।
সরকারি নথি অনুযায়ী, সুভাষচন্দ্র বসু ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান। জানা গিয়েছে, সুভাষচন্দ্র বসু যে বিমানে করে মাঞ্চুরিয়া যাচ্ছিলেন, তা মাঝ পথেই নিখোঁজ হয়ে যায়। তার বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার পর তা বিধ্বস্ত হয়েছে কিনা তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ওই বছরের ২৩ আগস্ট জাপানের একটি সংস্থা এ জানায়, সুভাষ চন্দ্র বসুর বিমান তাইওয়ানে বিধ্বস্ত হয়েছে। যার কারণে তিনি মারা গেছেন। কোনো দেশের প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের বিবৃতি এলে দুর্ঘটনাটি সত্য বলে বিবেচিত হতে পারত, কিন্তু কয়েকদিন পর জাপান সরকার নিশ্চিত করে যে সেদিন তাইওয়ানে কোনো বিমান দুর্ঘটনা হয়নি। বিমান দুর্ঘটনা না ঘটলে নেতাজি কোথায় গিয়েছিলেন তা নিয়ে থেকেই যায়।