নিজস্ব সংবাদদাতাঃ গুমনামি বাবাই কি নেতাজি? বহুদিন ধরেই এই প্রশ্ন বাঙালি তথা ভারতীয়দের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। এবার সেই প্রশ্নের উত্তর দিল অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বিষ্ণু সহাই কমিশন। সহাই কমিশন বলেছে যে ভগবানজী বা গুমনামি বাবা নেতাজির ভক্ত ছিলেন। কিন্তু তিনি নেতাজি ছিলেন না। তবে তাঁর গলার স্বরের সঙ্গে মিল ছিল নেতাজির।
১৯৮৫ সালে অযোধ্যার গুপ্তার ঘাটে দাহ করা হয় গুমনামি বাবাকে।বিচারপতি সহায়ের রিপোর্ট বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় পেশ করা হয়। হিন্দিতে লেখা ১৩০ পাতার এই রিপোর্টের শেষে বলা হয়েছে যে ভগবানজীর ঘর থেকে যেসব জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে, তার থেকে এটা বলা যায় না যে গুমনামি বাবাই নেতাজি। তবে গুমনামি বাবা যে নেতাজির ভক্ত ছিলেন, সেটি জানিয়েছে কমিশন। কিন্তু মানুষ তাঁকে নেতাজি মনে করায় বারবার বাড়ি বদলাতে হয়েছিল গুমনামি বাবাকে, সেটা কমিশনের রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে গুমনামী বাবা যে ভাবে নিজের পরিচয় কাউকে দিতে চাইতেন না, তাতে কোনও অন্যায় দেখেনি কমিশন। সংবিধানের আর্টিকাল ২১ তাঁকে সেই স্বাধীনতা দিয়েছিল বলেই অভিমত কমিশনের। যারা মনে করেন গুমনামি বাবা নেতাজি এবং যারা সেই তত্ত্বকে উড়িয়ে দেন, দুই পক্ষের মতকেই রিপোর্টে স্থান দিয়েছেন বিচারপতি। কিন্তু সবকিছু বিচার করে গুমনামি বাবা নেতাজি, সেটা বলা যাবে না বলেই রায় কমিশনের।