আবাস যোজনার থেকে বঞ্চিত এই গ্রাম

author-image
Harmeet
New Update
আবাস যোজনার থেকে বঞ্চিত এই গ্রাম







দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
 রয়েছে আধার কার্ড ভোটার কার্ড বসতবাড়ি,কিন্তু ওই গ্রামে আবাস যোজনার তালিকাতেই আসল না কারো নাম। তবে কি গ্রামে নেই কোনো দরিদ্র পরিবার? উঠছে প্রশ্ন। ওই গ্রামে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই গ্রামে বিজেপি জয়লাভ করেছে তাই হয়তো শাসক দল তৃণমূল সরকারি পরিষেবা আটকে রাখছে। এমনই ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর-১ ব্লকের পাঁচবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কলাইকুন্ডু গ্রামের। জানা যায়, গ্রামে ভোটার সংখ্যা প্রায় হাজার। গ্রামবাসীদের দাবি, আবাস যোজনার তালিকাতে গ্রামের কোনো মানুষেরই নাম নেই, কিন্তু গ্রামের প্রত্যেকটি মানুষই আবাস যোজনা বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। ভাঙাচোরা মাটির বাড়িতে অধিকাংশ মানুষের জীবনযাপন, তারপরও কেন নেই আবাস যোজনা তালিকায় গ্রামের কারোরই নাম? এতেই দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য তথা স্থানীয় বিজেপি নেতা নির্মল বেরা বলেন, "এই গ্রাম অর্থাৎ বুথের মানুষ সরকারি সমস্ত পরিষেবা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এই নিয়ে তারা একাধিক বার ব্লক প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন জানালেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি, শাসকদল তৃণমূল কারসাজি করে এই বুথ তথা কলাইকুন্ডু গ্রামের মানুষদের সমস্ত সরকারি পরষেবা থেকে বঞ্চিত রেখেছে করেন।" অপরদিকে তৃণমূল পরিচালিত পাঁচবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দিপালী ঘোষের বিস্ফোরক দাবি, "শুধু একটি গ্রাম নয়, এরকম কয়েকটি গ্রাম সংসদ তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে তাই তিনি দুঃখিত। প্রকৃত প্রাপক গরীব মানুষেরা বাড়ি পাক তিনিও চান, এ নিয়ে ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন বলে জানান। ভাঙাচোরা মাটির বাড়ি আবার কারও বাড়ি ত্রিপল আর বাঁশ দিয়ে কোনও রকমে দাঁড় করিয়ে রেখেছে।তাতেই ঝড়জল উপেক্ষা করে বসবাস করে আসছেন,সরকারি পাকা বাড়ি পাওয়ার আশায় প্রশাসনের দরজায় ঘুরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে দাবি গ্রামবাসীদের। সরকারি আবাস যোজনার বাড়ি তো দূর অস্ত অন্যান্য একাধিক সুযোগ সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত। পাওয়ার বলতে রেশনের চাল টুকু এমনও অভিযোগ গ্রামবাসীদের। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে কলাইকুন্ডু বুথে বিজেপির প্রার্থী জয়লাভ করে পঞ্চায়েত সদস্য হন আর এতেই নাকি শাসকদলের রোষানলে পড়ে সরকারি একাধিক প্রকল্প পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে যার সদ্য উদাহরণ আবাস যোজনার তালিকা থেকে নাম বাদ গেছে আস্ত একটা বুথের উপভোক্তাদের। আর এতেই শুরু হয়েছে চরম বিতর্ক।