নিজস্ব সংবাদদাতাঃ পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত নানা আশ্চর্যের ঘটনা ঘটে আসছে। এর কতটুকুই বা জানি আমরা। দেশের মধ্যেই রয়েছে নানা অজানা ইতিহাস। সেরকমই একটি গ্রামের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হল এই গ্রামে একটি ভাষারই চল রয়েছে। তা হল সংস্কৃত।
একুশ শতকে দাঁড়িয়েও প্রাচীন এই ভাষাতেই কথা বলেন গ্রামের বাসিন্দারা। হিন্দি, ইংরেজি, কন্নড় কোনও ভাষাই আধিপত্য তো দূর, সমাজেই স্থান পায়নি। গোটা গ্রামে মূল ভাষা একটাই। তা হল- সংস্কৃত। তাই সংস্কৃত না জেনে এই গ্রামে গেলে একজন অনুবাদক লাগবেই। অন্য ভাষা জানা থাকলেও সেই ভাষাতে কথা কেউ বলবে না। কর্ণাটকের সিমোগা জেলার মাথুর গ্রামের এই ঘটনা সকলেরই প্রায় অজানা।
এই গ্রামে বসবাসকারীরা বেশিরভাগই ব্রাক্ষ্মণ সম্প্রদায়ের। প্রায় ৬০০ বছর আগে তাঁরা কেরল থেকে এই গ্রামে আসেন। গ্রামের মাঝে রয়েছে একটি মন্দির। পাঠশালাও আছে। ১০ বছর বয়স থেকেই বেদ এবং অন্যান্য পুঁথি পড়ুয়াদের শেখান সংস্কৃত পণ্ডিতেরা। গ্রামের মানুষেরা তো সংস্কৃতে কথা বলেনই। দেওয়ালের পোস্টার থেকে দোকানের নামও লেখা থাকে এই ভাষাতেই।