নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রামঃ ফের মানবিক মুখ ঝাড়গ্রাম পুলিশের। গত ২৮ ডিসেম্বর এক নাবালিকা মেয়েকে ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দির সংলগ্ন এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে ঘুরাঘুরি করতে দেখেন এলাকাবাসীরা। এরপর তারা ঝাড়গ্রাম থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এদিকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সঠিক কোনো তথ্য পায় না পুলিশ। তার পরেই তাকে সে দিন রাতে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ওয়ান টক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করে মহিলা থানার পুলিশ এবং পরের দিন ২৯ শে ডিসেম্বর তাকে পুনরায় কোর্টে তোলা হয়। এদিকে যেটুকু তথ্য পেয়েছিল ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ তা পুরোটাই ভুয়ো হিসেবে প্রমাণ হয়। পুনরায় মহামান্য বিচারপতি মেয়েটিকে হোমে পাঠানোর নির্দেশ দেন, আর সেই নির্দেশে পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে মেয়েটিকে খড়গপুর হোমে রেখে আসে। এরপর পুনরায় মেয়েটিকে আদালতে তোলার জন্য যখন নিয়ে আসা হয় সেই সময় সঠিক বাড়ির ঠিকানা জানান পুলিশকে নাবালিকা। তারপরেই পুলিশ তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ শুরু করে এবং ঝাড়্গ্রাম থানার পুলিশের সাথে যোগায়োগ হয় মেয়েটির পরিবারের। এর পর পরিবারের তরফে মেয়েটির মা ও বাড়ির সদস্যরা তাদের সঠিক পরিচয় পত্র নিয়ে হাজির হয় থানায়। ওড়িশা রাজ্যের পুরিতে সে মাসি বাড়ি যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল, তারপরেই হারিয়ে যায় বলে এমনটাই জানা গেছে পরিবার সূত্রে। আজ পুনরায় কোর্টে তোলা হলে বিচারপতি মেয়েটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশকে। তাঁর পরেই পুলিশ পরিবারের হাতে মেয়েটিকে তুলে দেন। এদিকে মেয়েকে কাছে পেয়ে খুশি তাঁর পরিবার, মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশকে সাধুবাদ জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের আত্মীয়-স্বজন সহ তার মা-বাবা। ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশের এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে খুশি ঝাড়গ্রামের জেলার মানুষ।
পুলিশের সহযোগিতায় নাবালিকা মেয়েকে ফিরে পেল পরিবার
New Update