হাবিবুর রহমান, ঢাকা : বাংলাদেশে বুধবার থেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু
হবে। স্বাভাবিক হচ্ছে সবকিছু। সব ধরনের অফিস-বিপণিবিতান খোলা ও গণপরিবহনও
নেমেছে রাস্তায়। দীর্ঘদিন পর কর্ম ফিরে পেয়ে পরিবহন শ্রমিকরা একদিকে যেমন
উচ্ছ্বসিত, অন্যদিকে শঙ্কাও রয়েছে। করোনা মহামারিতে উচ্চ সংক্রমণের
মধ্যেই ‘জীবন ও জীবিকার তাগিদে’ কঠোর বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে সরকার।
পরিবহন শ্রমিকদের আশঙ্কা, করোনার প্রকোপ না কমলে আবারও মুখোমুখি হতে পারে
লকডাউনের, বন্ধ হতে পারে তাদের কর্ম। তবে কোনওভাবেই আসন সংখ্যার চেয়ে
বেশি যাত্রী বহন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন
কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)। ঈদের পর ২৩ জুলাই শুরু হওয়া কঠোর লকডাউনের মঙ্গলবার
ছিল শেষ দিন। ঢাকায় কোনো রাস্তা দেখলে বোঝার উপায় নেই যে মঙ্গলবার
লকডাউনের বিধিনিষেধ ছিলো।
রাজধানীর নিউ মার্কেট, গ্রিনরোড এলাকা, গুলিস্থান, পল্টন, উত্তরা ও
সায়েদাবাদ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে আসছে জনজীবন।
সড়কে চলছে রিকশা ও ব্যক্তিগত গাড়ি। মানুষের চলাচলও অন্যান্য দিনের তুলনায়
বেড়েছে। গ্রিনরোড এলাকায় একটি হাসপাতালে আসা গাড়িচালক কামাল হোসেন বলেন,
বুধবার থেকে লকডাউন উঠে গেলে আবারও সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এজন্য
মঙ্গলবার থেকেই সবাই যার যার মতো প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
শাহজাহানপুর, রামপুরা, মৌচাক, মালিবাগ, কাকরাইল, ফকিরাপুল, বিজয়নগর,
পল্টন, বেইলিরোড এলাকা ঘুরে দেখা গেল, লকডাউনের শেষ দিন সড়ক অতিরিক্ত
গাড়ি দেখা গেছে। মোড়ে মোড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা
জামাল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার সকালে রাস্তায় বেরিয়ে মনে হয়েছে ঢাকা
অন্যরকম। লকডাউন বিদায় হয়ে গেছে। এতদিন যে লকডাউন লকডাউন মনে হয়েছিল,
সেটাও নেই। রাস্তায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি, রিকশা আর রিকশা। যানবাহনের চাপে
মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। কাকরাইল,
মালিবাগ, শান্তিনগর মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডগুলো রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখা
হয়েছে।
বনানী থেকে কাকরাইলে আসতে প্রাইভেটকার চালক কাউসার আকন্দ এক ঘণ্টারও বেশি
সময় লেগেছে। তিনি বলেন, বনানীর কাকলী, চেয়ারম্যান বাড়ি, মহাখালী,
নাবিস্কো, সাতরাস্তা, বেইলি রোডের মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল আর যানজট পার
হয়ে আমাকে আসতে হয়েছে। এতদিন ভালো লাগত গাড়ি চালিয়ে। গত কয়েকদিন যাবৎ
রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে আরাম পাচ্ছি না। সেই আগের অবস্থা।
শান্তিনগরের একটি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা কানিজ ফাতেমা মঙ্গলবার সকাল
১০টায় বেইলি রোডের সিদ্ধেশ্বরী কলেজে যাওয়ার অভিজ্ঞতা জানালেন। তিনি
বলেন, বেশি দূর তো নয়, শান্তিনগর থেকে বেইলি রোড। কিন্তু রাস্তায় যানবাহন
দেখে ভয় পাওয়ার মত অবস্থা। যেন গাড়িরা সব জেগে উঠেছে। গণপরিবহন ছাড়াই
ঢাকার রাস্তায় এত যানবাহন দেখে কাকরাইলের একটি হাসপাতালের কর্মচারী জয়নাল
আবেদীন বলেন, কোথা থেকে এত প্রাইভেট কার এল বুঝলাম না। রাস্তা আজকে তারাই
দখল করে ফেলেছে। তাহলে কালকে (বুধবার) বাস, হিউম্যান হলার নামলে কী হবে?
মোহাম্মদপুর, আদাবর, শেখেরটেক, রিংরোড এলাকায় ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যাই
বেশি। পাশাপাশি রিকশা। দোকানপাট সবই খোলা। পাড়া মহল্লার রেস্তরাঁগুলোতে
বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছে। শিয়া মসজিদ এলাকার আল আমিন
রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার মো. শিহাব উদ্দিন বললেন, অনেকে বসে খেতে চায়। এ
কয়দিন দিইনি। কাল (বুধবার) থেকে লকডাউন উঠে যাচ্ছে। তাই মঙ্গলবার অল্প
কিছু মানুষকে বসে খেতে দিচ্ছি।
রাস্তায় গাড়ির জট বাড়ার পাশাপাশি ফুটপাতে মানুষের চলাচলও বেড়েছে। তবে
সবার মুখে মাস্ক দেখা যাচ্ছে না। অনেক রেস্তোরাঁয় বসে খেতেও দেখা গেছে।
খোলা রয়েছে লন্ড্রি, সেলুনসহ প্রায় সব ধরনের দোকানপাট। জমজমাট অবস্থা
পাড়ামহল¬ায়। চলমান লকডাউনের উনবিংশতিতম দিনে পুরান ঢাকার বিভিন্ন এলাকা
ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেল। মিটফোর্ড, পাটুয়াটুলীর মার্কেটগুলো বন্ধ
থাকলেও অনেক মার্কেটের অর্ধেক কলাপসিবল গেইট খোলা রেখে চলছে বেচা-বিক্রি।
মঙ্গলবার গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কাউন্টারগুলো বেশ
কিছুদিন বন্ধ থাকায় ধুলো ময়লা জমে গেছে। সেগুলো পরিষ্কারে ব্যস্ত সময় পার
করছেন সংশি¬ষ্টরা। যে যার কাউন্টারগুলো পরিষ্কার করছেন জীবাণুনাশক দিয়ে।
অনেকে আবার কাউন্টারগুলো নতুনভাবে রঙ করছেন। বেশ কয়েকদিন গাড়ি চলাচল বন্ধ
থাকায় গাড়িগুলোর সচলতা পরীক্ষার জন্য অনেকেই গাড়ি স্টার্ট দিয়ে
পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছেন। গাড়ির ব্যাটারিসহ চাকা ঠিকঠাক আছে কিনা সে
বিষয়টিও তারা চেক করছেন। উৎসবমুখর পরিবেশ সেখানে।
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী পর্যন্ত চলাচল করে জামান পরিবহনের বাস। এই
পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারের সামনে দেখা গেল, বাসগুলোর মেরামতকাজ চলছে;
মঙ্গলবার রাত থেকেই বাসগুলো যাত্রী পরিবহন শুরু করার কথা। চলছে বাস
মেরামত আর রক্ষণাবেক্ষণের কাজ; পাশাপাশি চলছে রঙের কাজও। বেশ ব্যস্ত হয়ে
মেরামতকাজ দেখভাল করছেন জামান পরিবহনের ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক। তিনি
বলেন, ‘গাড়ি বইয়া থাকলেই খালি নষ্ট হয়। চললে আর এতো নষ্ট হইত না। ক্ষতির
হিসাবের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মধ্যে এসির কম্প্রেসর,
কনডেন্সার সব লাগাতে ৬০ হাজার টাকা খরচ হইছে। এর উপ্রে ইস্টাপগো
(কর্মীদের) খোরাকি, মোবিল চেঞ্জ, ব্রেক ঠিক করা, গ্রিজ দেওয়া এইসব কাম তো
রইছেই। সব মিলায়া দুইডা এসি গাড়িতে শুধু গাড়ির ক্ষতি লাখ টাকা ছাড়াইব।
রাজ্জাক আরো বলেন, এর বাইরে প্রত্যেকটা গাড়ির কাম করাইতে হইছে। বইয়া
থাকতে থাকতে গাড়ির ব্রেকের বাকেট, ক্লাচের বাকেট (হাইড্রলিক ব্রেক ও
ক্লাচের সিলিন্ডার বাকেট) ফুইলা নষ্ট হইয়া যায়। কুনো গাড়ির ব্যাটারি
বইছে। একটা ব্যাটারির দাম আছে ৩০ হাজার। এইবার সব (এসি) গাড়ি প্রতিদিন
স্টার্ট করাইছি। এর জন্য দুইডা কইরা স্টাফরে ডেইলি ৬০০ টাকা কইরা খোরাকি
দিতে হইছে, তেল গেছে। এহন হিসাব করেন ডেইলি শুধু গাড়ি চালু রাখতে খরচ আছে
হাজার টাকা। আর এহনেই ক্লাচের বাকেট লাগাইলাম, গ্রিজ দিতাছি।
গাবতলীতে হঠাৎ ছোটাছুটি বেড়েছে গ্যারেজ মালিক কামালের। তিনি
সাতক্ষীরা-খুলনা রুটের বিভিন্ন পরিবহন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক কাজ
করেন। তিনি বলেন, বাস মালিকদের খালি খরচ আর খরচ। লকডাউনে বসে থাকার পর
গাড়ি চালু করতে প্রতিটি গাড়িতে কিছু না কিছু টাকা ঢালতে হবে। এখানে এমনও
মালিক আছে যারা অনুরোধ করে বলেছেন, বাকিতে গাড়ির কাজটা করে দিতে। কিন্তু
আমারও তো সংসার আছে।
দিগন্ত পরিবহনের বাসচালক আবদুল বাতেন বহু বছর বাস চালান। তার
শিষ্য-স্যাঙাতদের অনেকেই এখন একই কোম্পানির চালক হয়েছেন। তাকে দেখা গেল
টার্মিনালের ভেতরে বাসের সামনে বসে চা পান করতে। তিনি বলেন, গাড়ির ক্ষতি
তো হইতাছেই, আমাগো যে কী খারাপ অবস্থা। ভয়ে বাড়িত যাই না। ঘর ভাড়া আছে,
খাওয়ার খরচ আছে। আমাগো কাছ থিকা শ্রমিক কল্যাণের নামে ট্যাকা নেয়, হেই
ট্যাকা কার পকেটে যায় সেইডা আপনারা খোঁজ করেন।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মঙ্গলবার রাত থেকেই অনেকে বিভিন্ন
গন্তব্যের গাড়িগুলো ছাড়বেন। বুধবার সকাল থেকে শুরু হবে পুরোদমে
দূরপাল্লার গণপরিবহন চলাচল করবে। গত কয়েক দফার লকডাউনকে কেন্দ্র করে
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করতে হয়েছে পরিবহন শ্রমিকদের।
গাবতলী বাস টার্মিনালে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সারছেন দিগন্ত পরিবহনের
কাউন্টার ম্যানেজার শোয়েব হাসান। তিনি জানালেন, গাড়ি চলাচল শুরু হবে, তবে
আবার যদি বন্ধ হয়ে যায় সেই আতঙ্ক তো রয়েছে। তারপরও সরকার আমাদের দিকে
তাকিয়ে একটি ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে-এজন্য সরকারকে ধন্যবাদ।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পূর্ণ আসনে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে গণপরিবহন।
সেক্ষেত্রে নিতে হবে মহামারির আগে নির্ধারিত ভাড়া। এটা আসলে পরিবহন
সংশি¬ষ্টদের জন্য ভালো হল কি না-জানতে চাইলে তিনি বলেন, সিট অনুযায়ী
যাত্রী পরিবহন করতে পারবো আমরা। সে কারণে পাবলিকের আর বাড়তি ভাড়া গুণতে
হবে না। যেহেতু ফুল যাত্রী হবে, তাই আমাদেরও ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না।
বাকিটা ভবিষ্যতে কী হয় তখনই বোঝা যাবে।
তবে এই সিদ্ধান্ত পরিবহন সংশি¬ষ্টদের জন্য বেশি ভালো হয়েছে বলেই মনে করেন
জামান পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার রাজ্জাক। তার মতে, অনেক সময় দেখা গেছে
বাড়তি ভাড়ার জন্য অনেকে গন্তব্যে যেতে পারছেন না, আবার অনেকের সাথে ভাড়া
নিয়ে গ্যাঞ্জাম লাগতো। এখন আর এ ধরনের কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
আগের মতোই অবস্থায় আমরা ফিরে যাবো।
করোনা পরিস্থিতিতে আবার কখন পরিবহন বন্ধ হয়ে যায় সেই শঙ্কাও রয়েছে পরিবহন
সংশ্লিষ্টদের মধ্যে। পরিবহন শ্রমিক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমরাতো করোনার
চেয়ে বেশি ভয় পাই লকডাউনকে। এই লকডাউনের কারণে আমাদের বিশেষ করে পরিবহন
খাতে যারা পরিবহন শ্রমিক রয়েছে তাদের জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন
গাড়ি চলাচল হলে আমাদের সন্তান-সন্ততিদের নিয়ে একটু ভালোভাবে চলতে পারবো।
আরেক পরিবহন শ্রমিক মজনু জানালেন, গত কয়েক দিনের লকডাউনে সংসার চালাতে
খুবই কষ্ট হয়েছে। তার কথায়, এটা কী ধরনের কষ্ট ভাই বলে বোঝানো যাবে না।
আমরা চাই সরকার যেহেতু গণপরিবহন চলাচল করার অনুমতি দিয়েছে আর যেন বন্ধ না
হয়। প্রায় একইরকম কথা বললেন কমফোর্ট লাইনের কাউন্টার ম্যানেজার সুমন। তার
দাবি, সরকার যে সিদ্ধান্ত দিয়েছে তাতেই আমরা খুশি। গাড়ির সিট অনুযায়ী
যাত্রী নিতে পারলেই হবে। আমরা যতটুকু সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার
চেষ্টা করবো।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান, বুধবার থেকে শতভাগ
আসনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলাচল করবে। পাশাপাশি লঞ্চের বাড়তি ভাড়া
প্রত্যাহার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বুধবার থেকে শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চলবে।
কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে লঞ্চের ভাড়া বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নেয়া
হয়েছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। নতুন করে লঞ্চের ভাড়া বাড়ছে না বলেও
জানান তিনি।
অপরদিকে, করোনার ভয়াবহ প্রকোপ কমাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ উঠে
বুধবার থেকে চলবে গণপরিবহন। করোনার সঙ্কটকালে এবার পূর্ণ আসনে যাত্রী
পরিবহনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে কোনওভাবেই আসন সংখ্যার চেয়ে বেশি
যাত্রী বহন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ
(বিআরটিএ)।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, গণপরিবহনে আসন সংখ্যার চেয়ে
বেশি কিংবা দাঁড়িয়ে কোনও যাত্রী বহন করা যাবে না। সড়কপথে পরিবহন চলাচলের
ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে প্রতিদিন
মোট পরিবহন সংখ্যার অর্ধেক চালু করতে পারবে। একই সঙ্গে করোনাকালের আগের
ভাড়া বুধবার থেকে বলবৎ হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পরিবহনে যাত্রী, চালক, সুপারভাইজার কন্ট্রাকটর,
হেলপার এবং টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের মাস্ক
পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং তাদের প্রয়োজনীয় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর
ব্যবস্থা রাখতে হবে। যাত্রার শুরু এবং শেষে যানবাহন পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন
সহ জীবাণুনাশক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
এছাড়া যানবাহনের মালিকগণকে যাত্রীদের হাত, ব্যাগ মালপত্র জীবাণুনাশক
ছিটিয়ে জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা করতে হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে।
গণপরিবহনের স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় মেনে না
চললে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি
দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশে বুধবার থেকে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা শুরু
New Update