নিজস্ব সংবাদদাতাঃ যে কোনও উৎসবে, পারিবারিক কিংবা বন্ধুত্বের উৎযাপনে, দুঃখে-হতাশায় সঙ্গী হতে পারে অ্যালকোহল। মাঝে মধ্যে মদের গ্লাসে চুমুক দিতেই পারেন, খেতেই পারেন হার্ড ড্রিঙ্কস। কিন্তু কোনও কিছুরই বাড়াবাড়ি ঠিক নয়। মদ্যপানের ক্ষেত্রে তো একেবারেই নয়। নিয়মিত মদ্যপানে হত পারে চরম ক্ষতি। কিছু মানুষের এই নেশা করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মস্তিষ্ক, স্নায়ু, লিভার, হৃদযন্ত্র ও মনের উপর প্রভাব ফেলে মদ। বেশকিছু কারণে অ্যালকোহল পান শরীরে বিষের মতো কাজ করতে পারে।
১. থাইরয়েড হরমোনের নিঃসরণে সমস্যা হলে কিংবা ডায়াবিটিজের সমস্যা থাকলে মদ্যপান একেবারেই অনুচিত।
২. ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর অ্যালকোহল অ্যাবিউজ অ্যান্ড অ্যালকোহলিজম বলছে, এক-দু’ পেগ মদ দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা করে দিতে পারে, কথা বলায় জড়তা আনতে পারে, স্মৃতিশক্তি কেড়ে নিতে পারে, শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ নষ্ট করে দিতে পারে। মদ্যপান বন্ধ করলে এই সমস্যাগুলি সহজেই চলে যেতে পারে।
৩. সেন্টার্স ফর ডিজিজ কনট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মত, উচ্চ রক্তচাপ আছে যাঁদের, মদ্যপান না করাই ভাল। সেই সঙ্গে যদি লিভারের সমস্যা থাকে, যেমন সিরোসিসের সমস্যা হলে মদ থেকে শতহস্ত দূরে থাকতে হবে। কারও যদি প্যানক্রিয়াসে সমস্যা থাকে, মদ্যপান বন্ধ করা উচিত।
৪. অতিরিক্ত মদ্যপানে শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যেতে পারে। অনেকে আছেন ক্লান্তির শিকার, কিংবা রয়েছে বমিভাব, মাইগ্রেন, পেশিতে যন্ত্রণা, বেশিক্ষণ আলোয় থাকার সমস্যা।
৫. মদ্য়পান যেমন ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা বাড়িয়ে দেয়, তেমনই ক্যান্সার আক্রান্ত হলেও মদ্যপান করা উচিত নয়। এতে লিভার, মুখ, গলা, ল্যারিঙ্কস, খাদ্যনালী ও স্তনে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেড়ে যেতে পারে।