নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মাছ-মাংস খেতে খেতে আপনি বোরড। ইচ্ছে হচ্ছে স্বাদ বদলের? বা ধরুন লকডাউনের বাজারে পকেট গড়ের মাঠ? প্রতিদিন মাছ-মাংস কেনা একেবারেই হাতের বাইরে চলে যাচ্ছ? অথচ সকাল থেকেই দৌড়ঝাঁপ…অফিসের হাড়ভাঙা খাটুনি…পর্যাপ্ত প্রোটিনও দিতে হবে শরীরকে। আপনার জন্য রইল এমন ছয় উপাদানের সন্ধান যা আদপে প্রোটিনের খনি।দেখে নিন কী কী?
রাজগিরা- পোশাকি নাম রাজগিরা। একে অনেকে অমরান্থও বলে। যে কোনও মুদির দোকানে পেয়ে যেতে পারেন এই রাজগিরা। এই রাজগিরাই হল আপনার ভেষজ প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস। নতুন কোষের সঞ্চার থেকে পুরনো কোষের দেখভালে এই খাবার যেন অব্যর্থ।
চিনে বাদাম- অর্ধেক কাপ বাদামে থাকে ২০ গ্রামের মতো প্রোটিন। ভিজিয়েও খাওয়া যেতে পারে বাদাম। যদি প্রোটিনের ঘাটতি থাকে তবে সে ক্ষেত্রে ম্যাজিকের মতো কাজ দেয় চিনেবাদাম থেকে তৈরি মাখন অর্থাৎ পিনাট বাটার।
মুসুরডাল- ভেষজ প্রোটিনের অন্যতম প্রধান উৎস মুসুরডাল। অর্ধেক কাপ মুসুরডালে থাকে ১৮ গ্রামের মতো প্রোটিন। শরীর তরতাজা রাখতে প্রতিদিন খাবার পাতে থাকুক মুসুরডাল। তবে মাপ বুঝে খাবেন। অত্যধিক পরিমাণে ডাল খেলে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে।
টোফু- অনেকটা পনিরের মতো। তবে এ হল ভেগান পনির। অর্থাৎ টোফু বানানো হয় সোয়া মিল্ক থেকে। ৯০ গ্রাম টোফুতে ৯ থেকে ১০ গ্রামের মতো প্রোটিন পাওয়া যায়। যদি টোফু ভাল না লেগে সে ক্ষেত্রে সয়াবিনও খেতে পারেন। সয়াবিন দিয়ে কিন্তু রকমারি সুস্বাদু রান্নার পদ হয়। ১০০ গ্রাম সয়াবিনে প্রোটিনের পরিমাণ ৩৬ গ্রাম।
আমন্ড- এক কাপ আমন্ডে সতেরো গ্রামের মতো প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে খালি পেটে খেলে ফল দেয় ভাল। একসঙ্গে ৪/৫ টি সকালেই খেয়ে নিতে পারেন। সারাদিনে কাজের এনার্জি পাবেন।