হাবিবুর রহমান, ঢাকা: বাংলাদেশে আজ রবিবার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’। এদিন জন্মগ্রহণ করেছিলেন খ্রিষ্টধর্মের প্রবর্তক যীশু খ্রীষ্ট। দুই হাজার বছর আগের এই শুভদিনে বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির কোলে জন্ম নিয়ে পৃথিবীকে আলোকিত করেন যীশু। বড় দিন উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা করছে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ। ঢাকার তেজগাঁও, সদরঘাট ও কাকরাইল চার্চে বড়দিন উপলক্ষে বিশ্ববাসীর মঙ্গল কামনা করে শনিবার রাত সাড়ে ৮ টায় শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। খ্রিষ্ট ধর্মানুসারীরা ধর্মীয় আচার, আনন্দ উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপন করেন। রঙিন আলো দিয়ে 'ক্রিসমাস ট্রি' সাজানো, বিশেষ প্রার্থনা, শিশুদের উপহার দেওয়া এবং স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হল উৎসবের মূল অনুষঙ্গ। রবিবার সকাল থেকে চার্চগুলোতে শুরু হয়েছে বড়দিনের শুভেচ্ছা বিনিময় ও প্রার্থনা। এরপর কেক কেটে, মিষ্টি, কমলা, চকলেট দিয়ে উদযাপন চলবে। তারপর বাড়ি ফেরা।বাড়িতে থাকছে ভূরিভোজ, অতিথি আপ্যায়ন, আর সব শেষে ঘুরে বেড়ানো। প্রার্থনায় বিশ্ব শান্তি ও মানুষের সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘বড়দিন’ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের গির্জাগুলোতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে র্যাব ও পুলিশ। যেকোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছে র্যাবের স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট। ঢাকায় গুরুত্বপূর্ণ স্পটে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে র্যাবের চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি করা হচ্ছে। অনলাইনে মিথ্যা অপপ্রচার ও গুজব ঠেকাতে র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিমের সার্বক্ষণিক নজরদারি রয়েছে। বড়দিন উপলক্ষে রবিবার সরকারি ছুটি রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদপত্রগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান ও প্রকাশনার মাধ্যমে দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরছে। দিবসটি উপলক্ষে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
বাংলাদেশে চলছে বড়দিন উদযাপন
New Update