নিজস্ব সংবাদদাতা : পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে ততোই ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে রাজনৈতিকদলগুলির। বিশেষ করে, তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে বাকযুদ্ধের ঝাঁঝ ক্রমে বাড়ছে। এবার মদন মিত্রের নিশানায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বেলঘরিয়ায় মেলার উদ্বোধন থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে কামারহাটির বিধায়ক বলেন, "প্রয়োজন হলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রেসার মেপে দেব। তাঁর মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তিনি চিকিৎসা করাতে চাইলে আমি তাঁকে সাহায্য করব।" তিনি আরও বলেন,পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছেন শুভেন্দু।
সম্প্রতি এক জনসভায় শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, "আগেই নন্দীগ্রামে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়েছি। এবার তাঁকে প্রাক্তন করে দেব।" এর পাল্টা তৃণমূল বিধায়ক বলেন, "আমাদের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা যত এই ধরনের কথা বলছেন ততই অসুবিধায় পড়ছেন। মমতাকে প্রাক্তন করতে গেলে উনি নিজেই মমি হয়ে যাবেন। কবে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে কিন্তু তার আগেই আমাদের মেডিক্যাল ক্যাম্প তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেখানে ব্যান্ডেজও থাকবে। কারণ যেভাবে বিজেপি নোংরামি করছে , অসভ্যতা করছে, যেভাবে শুভেন্দু নোংরা অকথ্য কথা বলছে , তাতে মানুষ যেকোনও সময় আক্রান্ত হতে পারে। তাই আমরা আগে থেকেই ডাক্তারের ব্যবস্থা রাখছি। পঞ্চায়েতে ব্যান্ডেজ খুব কাজে লাগবে।"
নন্দীগ্রামে , শুভেন্দুর গড়ে তৃণমূল সমবায় ধরে রাখার পর নন্দীগ্রামে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, "পঞ্চায়েতে আমাকে যেখানে পাঠানো হবে যাব। আমি নন্দীগ্রামে যেতে চাই। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে লড়াইয়ের সময়ে সিরাজ জানতেন না যে তাঁর ৫০ হাজার সেনা দাঁড়িয়ে থাকবে। নন্দীগ্রামেও যে এই রকম নোংরামি হবে তা আগে জানতাম না। এখন জেনেছি। সেখানে গিয়ে জানতে চাই, নন্দীগ্রামের মানুষ কী সত্যিই মমতাকে হারিয়েছিলেন?"