চরম ভোগান্তির শিকার ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

author-image
Harmeet
New Update
চরম ভোগান্তির শিকার ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা

দিগবিজয় মাহালী: গ্রামে যাবে না এ্যাম্বুলেন্স। কেশপুরের বিকলচক গ্রামের মানুষ পাবে না ১০২ এ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা। ফলে এক প্রকার নিরুপায় হয়ে ১০ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বাসে করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসতে হল স্বামী ও পরিবার পরিজনদের। শুক্রবার এমনই ঘটনা ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের বিকলচক গ্রামের বাসিন্দা শেখ বাপি আলির স্ত্রী সারজুনা বিবির সঙ্গে। শেখ বাপি আলির অভিযোগ, গত তিনমাস আগে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে বিকলচক গ্রামের বাড়ি থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য এম্বুলেন্স পরিষেবা ১০২ নং ফোন করলে, এম্বুলেন্স গ্রাম থেকে প্রায় দেড় দুই কিমি দূরে পাকা রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে বলে জানায়। তারা জানায় গ্রামের ভেতরে যাবে না এম্বুলেন্স। অন্তঃসত্ত্বা রোগীকে পাকা রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে আসতে হবে। সেই সময় শেখ বাপি আলি সেই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার ভিডিও করে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। বাপি জানায়, সেটাই তার চরম অপরাধ। তারপর থেকেই কেশপুরের বিকলচক গ্রামে ঢোকে না ১০২ এর এম্বুলেন্স। শুক্রবারও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হাসপাতাল নিয়ে আসার জন্য ১০২ নং কল করেও মেলেনি এম্বুলেন্স পরিষেবা বলেই অভিযোগ। ফলে বাধ্য হয়ে গ্রাম থেকে ২ কিমি পথ হেঁটে পাকা রাস্তায় এসে বাসে করে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে বাপি আলি। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে কেঁদে ফেলে সে। তার আক্ষেপ, সত্য কথা বলেছি বলে আমার অপরাধ, কিন্তু তার শাস্তি গোটা গ্রামের মানুষ কেন পাবে।