ধসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের শীর্ষা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ

author-image
Harmeet
New Update
ধসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের শীর্ষা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ

হরি ঘোষ, দুর্গাপুর : দীর্ঘ ৬ মাস ধসের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের শীর্ষা গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ। দীর্ঘ ছয় মাস ধরেই মিলেছে শুধু প্রতিশ্রুতি, মেলেনি পুনর্বাসন বা ক্ষতিপূরণ ।তাই পুনর্বাসনের দাবিতে শুক্রবার ঝাঁজরা কোলিয়ারির পরিবহন বন্ধ করে বিক্ষোভে সামিল হল ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন।চলতি বছর জুলাই মাসে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের শীর্ষা গ্রামের দাস পাড়ার প্রায় ২৮টি বাড়ি কোলিয়ারির বিস্ফোরণের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। জুলাই মাসে ধসের কারণে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা দেয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পাড়ার বাসিন্দারা । সেই সময় তাদের বসবাসের জন্য অস্থায়ী শিবিরের ব্যবস্থা করা হয়। এরপর এলাকাবাসী ও ইসিএল কর্তৃপক্ষ এছাড়াও শাসকদলের নেতৃত্বের সাথে এলাকাবাসীদের পুনর্বাসন নিয়ে বেশ কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। এলাকায় ধসের কারণে বেশ কয়েকবার এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ইসিএলএর বিরুদ্ধে। এলাকাবাসীদের প্রধান দাবি পুনর্বাসন। ধসের আতঙ্কে আতঙ্কিত তারা। তাদের বাড়ির বদলে অন্যত্র বাড়ির ব্যবস্থা করতে হবে ইসিএলকে, এই দাবি নিয়েই তাদের আন্দোলন। এলাকাবাসীদের দাবি, দীর্ঘ ছয় মাস ধরে ইসিএল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে শুধু আশ্বাস দিয়েছেন, কাজের কাজ কিছুই হয়নি।


ফের গত বুধবার এলাকায় ধসের কারণে বাড়িতে নতুন করে ফাটল দেখা দিতে শুরু করেছে । বুধবার রাত্রে একটা মাটির বাড়ির খড়ের চালা হঠাৎ ধসে পড়ে, সৌভাগ্যবশত সেই সময় বাড়ির ওই স্থানে কেউ ছিল না বলে কোন প্রাণহানি হয়নি । এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসিন্দারা। পুনর্বাসনের দাবি নিয়ে শুক্রবার সকাল থেকেই ঝাঁঝরা এমআইসি কোলিয়ারির প্রধান গেটের সামনে বসে বিক্ষোভের সামিল হন। বিক্ষোভের জেরে বন্ধ হয়ে যায় ঝাঁঝরা কোলিয়ারির পরিবহন। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লাউদোয়ার ফরিদপুর থানার পুলিশ। বিক্ষোভরত অসীমা বাদ্যকর ও সাগরি বাগদীরা জানান, বারবার ইসিএল কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়েছেন কাজের কাজ কিছুই হয়নি । ইসিএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা বলেন, 'যদি জীবন দিতেই হয় তাহলে কোলিয়ারির গেটের সামনে জীবন দেব।' হয় তাদের পুনর্বাসনের ব্যাপারটি ইসিএল কর্তৃপক্ষ শীঘ্রই বিবেচনা করবে নতুবা তাদের আন্দোলন চলবে । যদিও এই ব্যাপারে কোলিয়ারির এরিয়া পার্সোনাল ম্যানেজার রঙ্গন চন্দ্র কোন উত্তর দিতে চাননি ।