নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: বাড়ির দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল নদী! ঘুম উড়েছে মেদিনীপুর গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দাদের, অন্যত্র পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসনের।
নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে পৌঁছে গেছে বাড়ির দুয়ারে। নদী গর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। এমনই চিত্র উঠে এসেছে মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল থানার চাঁদড়া এলাকায়। মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম (ভায়া ধেড়ুয়া) সড়কের উত্তর দিকে জঙ্গল আর দক্ষিণে বয়ে গেছে কংসাবতী নদী। মাঝে বসবাস কয়েক হাজার পরিবারের। জঙ্গলের পাতা, কাঠ সংগ্রহ করে আর নদীর তীরে চাষাবাদ করে সংসার চলে বহু পরিবারের। দিনকয়েকের প্রবল বর্ষণ আর জলাধারের ছাড়া জলে কয়েকশ বিঘা কৃষি জমি জলের তলায়। বেশ কয়েক বছর ধরে নিয়মিত ভাঙছে নদীর পাড়। ভাঙতে ভাঙতে এবার তা পৌঁছে গিয়েছে বাড়ির দুয়ারে। চাঁদড়ার ধ্বজিধরা, কুন্ডলবনি এলাকার এমন 8-10 টি বাড়ি বর্তমানে নদীর তীরে অবস্থান করছে। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। তারা জানান, যেভাবে নদীর পাড় ভাঙছে তাতে যেকোনো সময় নদীতে ধসে পড়বে বাড়ি। রাতে না জেগে থাকলে বাড়ি ভেঙে বিপদ হতে পারে আমাদেরও। তবে নদীর জল বাড়লে যেকোনো মূহুর্তে তলিয়ে যেতে পারে বাড়িগুলি। ওই পরিবারগুলিকে অন্যত্র পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রশাসন দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বর্ষণের পর কয়েকবার ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিও সুদেষ্ণা মৈত্র। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে। নয়ন দে জানিয়েছেন, ওই এলাকা পরিদর্শন করে গেছেন বিডিও এবং জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক। নদীর তীরে বসবাসকারী পরিবারগুলিকে ওখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।