স্কুল বিল্ডিং তৈরি নিয়ে জটিলতা, গাছ তলায় চলছে ক্লাস

author-image
Harmeet
New Update
স্কুল বিল্ডিং তৈরি নিয়ে জটিলতা, গাছ তলায় চলছে ক্লাস

দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : ডেবরায় হরিদ্রাপাট এমএসকে স্কুলে ২০০৮ সাল থেকে তেঁতুল গাছের তলায় চলছে ক্লাস।আইনি জটিলতায় আটকে স্কুল বিল্ডিং।


 
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৩ নং সত্যপুর অঞ্চলের অন্তর্গত কাঁসাই নদী বাঁধ সংলগ্ন গ্রাম হরিদ্রাপাট। আর এই গ্রামেই রয়েছে হরিদ্রাপাট এমএসকে স্কুল। মূলত মুসলিম ও বেহারা সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস রয়েছে স্কুলের সামনে। ছাত্র ছাত্রীদের সংখ্যা প্রায় ৯০ জন। ২০০৩ সালে একটি মাটির চালাতে শুরু হয়েছিল স্কুলটি। কিন্তু ২০০৭ সালে জেলা পরিষদের নির্দেশে স্কুল বিল্ডিং তৈরির কাজ শুরু করেন ঠিকাদার শুভাশিষ রায়। স্কুল বিল্ডিং ঢালাই হওয়ার আগেই শুরু হলো আইনি জটিলতা। স্থানীয় এক বাসিন্দা সেখ রেজাউল ইসলাম ওই স্কুল তৈরির জায়গার ওপর মামলা করেন। দাবি করেন, ওই জায়গা ওনাদের পূর্ব পুরুষের। সেই নিয়ে আজ পর্যন্ত হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল বিল্ডিং তৈরির কাজে স্থগিতাদেশ রয়েছে। তাই ঠিকাদার কাজটি সম্পূর্ন করতে পারেননি এবং টাকাও পাননি। বর্তমানে মূল সমস্যা হচ্ছে পড়ুয়াদের। শীত গ্রীষ্ম, বর্ষা এই তেঁতুল গাছের তলাতেই চলছে ক্লাস। ঝড় বর্ষা আসলে বন্ধ। পর্যাপ্ত শিক্ষক ও পড়ুয়া থাকা সত্ত্বেও ২০০৮ সালের পর থেকে এখনও ওই বিল্ডিং তৈরি করতে পারেনি প্রশাসন। এলাকাবাসীদের দাবি, 'এই স্কুল অত্যন্ত গ্রামীন। সংখ্যালঘু পরিবার বেশি৷এই স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে ছেলে মেয়েরা মাড়তলা স্কুল যাবে না।তাই আমরা চাই সুষ্ঠ একটা সিদ্ধান্ত হোক, স্কুল বিল্ডিং হোক আমরা চাই। আইনি জটিলতা থাকলে প্রশাসন তা সমাধান করুক।' অপরদিকে মামলাকারী সেখ রেজাউল ইসলাম বলেন, 'আমরাও স্কুল তৈরির পক্ষে। কিন্তু আমাদের কিছু দাবি আছে।সেগুলি প্রশাসন বিচার করে দেখুক।আমরা স্কুল তৈরির জায়গা দিয়ে দেবো।'


এই বিষয়ে ডেবরার বিডিও সিঞ্জিনী সেনগুপ্ত বলেন, 'আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানলাম।আমি অবশ্যই রিপোর্ট নেবো।উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানাবো।' অপরদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক আয়েষা রানি জানান, 'এই ধরনের আমি একটি অভিযোগ পেয়েছি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।' তবে কি এই ভাবেই তেঁতুল গাছের তলায় চলবে স্কুল?প্রশ্ন বিভিন্ন মহলে।