দিগ্বিজয় মাহালী, পশ্চিম মেদিনীপুর : সঠিক মানুষের হাতে আবাস যোজনার বাড়ি তুলে দিতে জেলা শাসকের নির্দেশে গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন বিডিওরা। সঠিক উপভোক্তা কিনা ফিল্ডে গিয়ে তা খতিয়ে দেখছেন খোদ বিডিও থেকে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকরা।আবাস যোজনায় তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্ত শুরু করল জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের নির্দেশে গ্রাম পঞ্চায়েত ব্লক স্তরের অফিসারেরা উপভোক্তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য যাচাই শুরু করেছে।
জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর এক নির্দেশিকা জারি করে জেলার সমস্ত বিডিওদের রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক আয়েশা রানী। নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মী ও ব্লক স্তরে কোন এক্সটেনশন অফিসার দিয়েই আবাস যোজনা প্রকল্পের তথ্য যাচাই করতে হবে। বর্তমানে উপভোক্তার বাসস্থানের চেহারা ও বাসস্থানের ছবি তুলে আপলোড করতে হবে পোর্টালে।এই আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়া নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। যাদের দোতলা -তিনতলা বাড়ি রয়েছে, তাদেরও আবাস যোজনা প্রকল্পে নাম রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল। এনিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য টানাপোড়েন থেকে প্রকল্পে কেন্দ্রের অর্থ বরাদ্দ পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রের তরফে একগুচ্ছ শর্ত চাপিয়ে শেষমেশ আবাস যোজনা প্রকল্পে সম্প্রতি কেন্দ্র সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। তাই এবার সঠিকভাবে গরিব মানুষের হাতে আবাস যোজনার বাড়ি তুলে দেওয়ার জন্যেই জেলা শাসকের এই নির্দেশ।
তথ্য অনুযায়ী,পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ২১ টি ব্লকের ব্লক ভিত্তিক কোন ব্লকে,কোন অফিসারেরা তথ্য যাচাই করবে তারও নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, জেলার মতো ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি ব্লকের ৯২ হাজার ১৫৮ জন উপভোক্তার নাম পাঠানো হয়েছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল মহকুমায় পাঁচটি ব্লকের পাঠানো তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ২২ হাজার ৬৯৮ টি নাম।বাকি ৬৯ হাজার ৪৬০ টি নাম যাচাই করবেন আধিকারিকরা।সেই মতোই প্রতিনিয়ত সকাল-সকাল এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন ব্লকের বিডিওরা।তেমনই অন্যান্য দিনের মতো আজও চন্দ্রকোনা দু'নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ,জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পোড়িয়া এলাকায় এলাকায় ঘুরছেন। এবিষয়ে থেমে থাকেনি বিজেপি।পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুশারী বলেন,"প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে। তাই কেন্দ্রের আবাস যোজনা যে বাড়ি প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ করেছে তা সঠিক মানুষ পাবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। যদি প্রশাসন তৃণমূল কংগ্রেসের কথা না শুনে সঠিকভাবে লিস্ট তৈরি করে তাহলে আমরা সাধুবাদ জানাই।আর সঠিকভাবে না হলে আমরা আইনের দ্বারস্থ হব।"