হরি ঘোষ, রাণীগঞ্জ: রাণীগঞ্জের মহাবীর কোলিয়ারিতে ১৯৮৯ সালের খনি দুর্ঘটনার উপর ভিত্তি করে ক্যাপসুল গিল চলচ্চিত্রের শ্যুটিং চলছে নিঘা কোলিয়ারি, রাণীগঞ্জের বাসড়া হাসপাতাল, নিয়ামতপুর ওয়ার্কশপ সহ বিভিন্ন জায়গায়। শ্যুটিং দেখতেও ভিড় জমাচ্ছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। শ্যুটিং ভেন্যুতে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নিঘা কোলিয়ারিতে মিডিয়া কর্মীদের জন্য একটি সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে, যার উপরে লেখা আছে প্রেসের অনুমতি নেই।
মিডিয়া কর্মীদের শ্যুটিং কভার করা থেকে বিরত রাখার মূল কারণটি শিল্পী এবং শুটিংয়ের সাথে জড়িত অন্যান্য কর্মচারীদের দ্বারা কোলিয়ারি প্রাঙ্গনে নিরাপত্তার সাথে লঙ্ঘন করা বলে মনে করা হচ্ছে। কয়লা ডিপোতে রাখা কয়লার মতো দাহ্য পদার্থের কাছে যেকোন ধরণের পোড়া উপাদান রাখা ডিজিএমএস নিয়ম অনুসারে নিষিদ্ধ, যদিও শিল্পী এবং অন্যান্য সদস্যরা কয়লার উপরেই তাদের তাঁবু খাটাচ্ছেন। যেখানে বড় জেনারেটর সেট, ভ্যানিটি ভ্যানসহ অনেক জিনিস রাখা হয়েছে।
একই সঙ্গে সদস্যদের খাবারও দেওয়া হচ্ছে। চনকের উপরের ৪ ও ৫ নম্বর বাহিকে সেফটি বেল্ট ছাড়া কাজ করতে দেওয়া হয় না কিন্তু এর ফিল্ম মেকার সদস্যদের সেফটি বেল্ট ছাড়াই অনেক কাজ করতে দেখা যায়। এই বিষয়ে শ্রীপুর এরিয়া জেনারেল ম্যানেজার এম কে জোশী এ বিষয়ে বলেন যে 'ছবিটির শ্যুটিং চলছে। নিঘা কলিয়ারিতে লেখা গ্যালারিতে শ্যুটিং করা হচ্ছে। যার শ্যুটিং চলছে, কাস্ট ও অন্যান্য সদস্যরা কাজ করছেন, সেদিকে আমরা কড়া নজর রাখছি। কোন বিপদ নেই।'