নিজস্ব সংবাদদাতা: সোমবার ইরানকে ৬-২ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেনদের দ্রুত গতির ফুটবলের কোনও জবাব দিতে পারেননি ইরানের ফুটবলাররা। বিশ্বকাপে প্রিয় দলের এমন ঝলমলে শুরুর পর কি বিয়ার ছাড়া চলে? জয়ের আনন্দে বিয়ারের খোঁজ শুরু করেন ইংল্যান্ডের দুই ব্যক্তি। তাঁরা জানতেন কাতারে বিয়ার নিষিদ্ধ। রাজার ইচ্ছায় বিশ্বকাপও এ বার ‘ড্রাই’। তবু যদি কোথাও পাওয়া যায়, এই আশায় গোটা দোহা শহর চষে ফেলেন দুই ইংরেজ। বিয়ারের খোঁজে শেষ পর্যন্ত তাঁরা পৌঁছন এক শেখের বাড়িতে। শেখের বাড়িতে ঢুকে তাঁদের প্রায় হাড়হিম করা পরিস্থিতি হয়। সেখানে তাঁরা দেখেন আর এক রাজার রাজত্ব। তিনি পশুরাজ সিংহ। প্রথমে কিছুটা ঘাবড়ে যান। সামনে সিংহ দেখে প্রথমে বেশ ভয় পেয়ে যান তাঁরা। ভয় কাটে প্রাসাদের কর্মীদের আশ্বাসে। কারণ শেখের প্রিয় সিংহ খুবই বাধ্য। বেশ শান্ত। কামড়ায় না। আঁচড়ায় না। দুই বিদেশি তখন সিংহের সঙ্গে খেলেন। সিংহকে আদর করেন। তাঁদের সঙ্গে ভাব জমে যায় পশুরাজেরও। সিংহের সঙ্গে এমন সময় কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত ইংল্যান্ডের দুই সমর্থক। শেখের প্রাসাদে বিয়ার পাওয়া না গেলেও খাতিরযত্নের কোনও ত্রুটি হয়নি বিদেশি অতিথিদের।