জলের অভাবে ফেটে যাচ্ছে আমন ধানের জমি

author-image
New Update
জলের অভাবে ফেটে যাচ্ছে আমন ধানের জমি

সুদীপ ব্যানার্জী, জলপাইগুড়ি:  জলের অভাবে ফেটে যাচ্ছে আমন ধানের জমি। সেচ দপ্তরে আবেদন জানিয়েও এখনও পর্যন্ত মেলেনি জল। স্বাভাবিক ভাবেই ধান চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের কৃষকরা। কৃষকরা ধান চাষের জন্য তিস্তার সেচ নালার জলের ওপর নির্ভরশীল। অভিযোগ, বোরো ধান চাষের সময় সেচ নালায় জল দেওয়া হলেও আমন ধান চাষের সময় জল দেওয়া হচ্ছে না। এদিকে কৃষি দপ্তরের তরফে কৃষকদের বেশি ফলনের জন্য স্বর্ণ, রঞ্জনা সহ কয়েকটি নির্দিষ্ট ধানের চাষ করতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, আমন ধান চাষের জন্য সেচ নালায় জল ছাড়া হচ্ছে না। রাজগঞ্জের শালগুড়ি গ্রামের এক কৃষক মহম্মদ আলি জানান, তাঁদের এলাকায় হাজারের অধিক বিঘা জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। কিন্তু চারা রোপণের পর সেচ নালায় জল দেওয়া হচ্ছে না। বিঘার পর বিঘা জমি ফেটে যাচ্ছে। তাঁরা কৃষি দপ্তরের পরামর্শ মেনে স্বর্ণ ও রঞ্জনা সহ বিভিন্ন ধানের চাষ করেছেন। কিন্তু জলের অভাবে চারা রোপণের পর মরে যাচ্ছে। সেচ দপ্তরের বিভিন্ন মহলে আবেদন করার পরও জল ছাড়া হয়নি।এই বিষয়ে করোতোয়া তালমা ব্যারেজ সাব ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার শৈবাল পাইন জানান, কৃষকরা জলের দাবি নিয়ে দপ্তরে এসেছিলেন ঠিকই, কিন্তু সেচ নালায় জল ছাড়লে অন্য ফসলের ক্ষতি হবে কিনা সে বিষয়ে কৃষি দপ্তর চিঠি দিয়ে জানালে জল ছাড়ার ব্যবস্থা দ্রুত করা হবে। যদিও রাজগঞ্জের সহকৃষি অধিকর্তা অম্বিকা সেনাপতি জানান, “ সেচ দপ্তরকে চিঠি দেওয়া হবে। তবে কাজ হবে কিনা জানা নেই। কারণ এর আগেও অনেকবার জল ছাড়ার বিষয়ে চিঠি দেওয়া হলেও বাস্তবে জল ছাড়া হয়নি। জলের অভাবে বোরো ধানের চাষেও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রতিবছর একই সমস্যা হয়।