অন্ডাল: স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরু শিশুদের কাছে ছিলেন প্রিয় "চাচা নেহেরু"। অন্যদিকে জওহরলাল নেহরুও ছোটদের সঙ্গে সময় কাটাতে খুব ভালোবাসতেন। জাতিসংঘ বা রাষ্ট্রসংঘ ১৯৫৪ সালের ২০ নভেম্বর দিনটিকে শিশু দিবস হিসাবে পালনের জন্য ঘোষণা করেছিল। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ভারতেও ২০ নভেম্বর শিশু দিবস হিসাবে পালন করা হত। তবে ১৯৬৪ সালের ২৭ মে, পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর প্রয়াণের পর শিশুদের প্রতি তার চরিত্রের এই বিশেষ দিকটিকে স্মরণে রেখে সর্বসম্মতভাবে তার জন্মদিনটি ভারতে শিশু দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারপর থেকেই প্রতিবছর ১৪ নভেম্বর দিনটি শিশু দিবস হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে শিশুদের গুরুত্বকে মনে করেই এই দিনটি পালিত হয়। এছাড়াও, এই দিনে শিশুদের অধিকার সম্পর্কে সব মানুষকে আরও সচেতন করার চেষ্টা করা হয়। শিশুরা যাতে সঠিক শিক্ষা পায়, দেশের সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষা পায় সে ব্যাপারেও প্রচার করা হয় এই দিনটিকে উপলক্ষ করে। সব মিলিয়ে ভারতে ১৪ নভেম্বর (শিশু দিবস) পুরোপুরিই শিশুদের দিন। তবে সব দেশেই শিশু দিবস পালনের উদ্দেশ্য একটাই, দেশের শিশুদের অধিকার ও তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতনতার বার্তা দেওয়া। শিশু দিবস উপলক্ষে অন্ডাল ব্লক প্রশাসন ও অন্ডাল পুলিশের উদ্যোগে এদিন আয়োজিত হল শিশুদের নিয়ে বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান। প্রথমেই শিশুদের গোলাপ ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তারপর এলাকায় যে সকল শিশুরা খেলাধুলা করে তাদের জন্য ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে দেওয়া হয় ফুটবল। অন্ডালে এমএস নামের স্বেচ্ছাসেবী যারা ভবঘুরে, রাস্তার ভিক্ষা করা শিশুদের নিয়ে কাজ করে, এই ধরনের শিশুদের জীবনের মূল স্রোতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে এই অনুষ্ঠানে ছিল তাদের প্রচেষ্টায় এগিয়ে আনা বেশ কিছু ভবঘুরে ও রাস্তার ভিক্ষা করা শিশুরা। যাদেরকে বিভিন্ন জায়গা থেকে আইন অনুযায়ী এনে তাদের জীবনের মূল স্রোতে ফেরানোর জন্য তাদের পড়াশোনা থেকে খাওয়া-দাওয়ার সমস্ত দায়িত্ব বহন করে এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। বহু এরকম হারিয়ে যাওয়া ছেলে-মেয়ে আজ জীবনের মূল স্রোতে ফিরতে সক্ষম। শিশু দিবসের দিন অন্ডাল ব্লক প্রশাসন ও অন্ডাল থানার উদ্যোগে শিশুদের নিয়ে নানান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে শিশুদের বসে আঁকো প্রতিযোগিতাও হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্ডাল ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সুদীপ্ত বিশ্বাস, ছিলেন অন্ডাল থানার ওসি শান্তনু অধিকারী প্রমুখ।
ঐতিহ্যের সঙ্গে পালিত হচ্ছে শিশু দিবস
New Update