ফের মেদিনীপুর স্টেশনে প্রসূতির সন্তান প্রসব

author-image
Harmeet
New Update
ফের মেদিনীপুর স্টেশনে প্রসূতির সন্তান প্রসব

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ বর্ধমান জেলার বারাডিহি এলাকার বাসিন্দা মজাবুল মন্ডল সোনার কারিগর। তিনি কাজের সূত্রে স্ত্রী অম্বিকা খাতুনকে নিয়ে গুজরাটে থাকতেন। স্ত্রী সন্তানসম্ভবা ও প্রসবের সময় ঘনিয়ে আসছে বুঝতে পেরে গুজরাট থেকে বর্ধমানের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন ট্রেনে। কবিগুরু এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে গুজরাটের জেতালসার স্টেশন থেকে সাঁতরাগাছির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন তিনি ও তার স্ত্রী। রবিবার সকালে ট্রেনটি মেদিনীপুর স্টেশনের কাছাকাছি পৌঁছানোর সময় ওই মহিলার প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিস্থিতি বেগতিক মনে হওয়ায় মেদিনীপুর স্টেশনে স্ত্রীকে নিয়ে নেমে পড়ার সিদ্ধান্ত নেন মুজাবুল। স্টেশনের ১ নম্বর প্লাটফর্মে নামতেই কর্মরত আরপিএফ কর্মীরা বুঝতে পেরে তৎপর হয়ে যান। দায়িত্বে থাকা আরপিএফ ও জিআরপি সহেলি টিমের কর্মরত মহিলারা অম্বিকা খাতুনকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি হচ্ছে দেখে একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে ওই মহিলাকে তোলা হয়। গাড়িতে তোলা মাত্রই ওই মহিলার পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। তারপর ওই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি করে দেওয়া হয়। হাসপাতালে উপস্থিত রেলওয়ের পক্ষ থেকে জিআরপি সিভিক অভিজিৎ রাউত বলেন- "স্টেশনে নামার পরে আমরা বিষয়টা বুঝতে পারি। দ্রুত তৎপর হয়ে সকলে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। শিশু ও তার মা দুজনেই ভালো রয়েছে।" উল্লেখ্য, গত তিন মাস আগে মেদিনীপুর স্টেশনে এক ভবঘুরে মহিলা স্টেশনের সিঁড়িতেই সন্তান প্রসব করেছিলেন। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় সহেলি টিমের মহিলা রেলকর্মীরা। এরপর গত এক মাস আগেও একই ঘটনা ঘটে। মেদিনীপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে ট্রেনের কামরাতেই সন্তান প্রসব হয়ে গিয়েছিল এক প্রসূতির। সেক্ষেত্রেও উদ্ধার করে অনুরূপভাবে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।